১২৮ বছর বয়সী মহিলা এই দুই খাবার খেয়ে পেয়েছেন দীর্ঘায়ু, জেনে নিন তাঁর সিক্রেট ডায়েট
সংক্ষিপ্ত
দক্ষিণ আফ্রিকায় এমন একজন মহিলা রয়েছেন যিনি ১১ মে তার ১২৮ তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে এই মহিলাই পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি।
দৌড়ঝাঁপের ব্যস্ত এই জীবনে খাবারের পাশাপাশি জীবনযাত্রার মানও খারাপ হয়ে গিয়েছে। যার কারণে অল্প বয়সেই মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই কারণে মানুষের গড় বয়সও কমছে। কিন্তু তারপরও অনেক মানুষ আছেন যারা খাবারের কারণে দীর্ঘ জীবনযাপন করছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় এমন একজন মহিলা রয়েছেন যিনি ১১ মে তার ১২৮ তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে এই মহিলাই পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি।
জোহানা মাজিবুকো ১১ মে ১৮৯৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার ১২ ভাইবোনের মধ্যে সবথেকে বড়। তিনি একটি ভুট্টা ক্ষেতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা মাঠে বেশি সময় কাটাতাম। সংবাদমাধ্যমে তিনি আরও জানান, যখন তিনি ছোট ছিলেন, তখন মাঠে পঙ্গপালের আক্রমণ খুব বেশি হত আর বাড়ির ছোটদের এই পঙ্গপাল ধরার দায়িত্বে রাখা হত। আমাদের পরিবার সেই পঙ্গপালকে ধরে, ভেজে খেত। কিন্তু যখন আমি বড় হতে শুরু করি, আমি এটি খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তার বদলে এবং দুধ এবং খেতের সবুজ শাক-সবজি খেতে শুরু করি।
বর্তমানে জোহানা দুধ এবং শাক-সবজি খাওয়া বন্ধ করেছেন
জোহানা-র বলল যে এখন সে শুধু হালকা ও লিকুয়িড খাওয়া খায়। কিন্তু দুধ এবং শাক-সবজি অনেক মিস করেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জোহানা মজিবুকো তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানান, তিনি একজন বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে করেছেন। যার নাম ছিল মেস্তওয়ানা মজিবুকো। তার প্রথম স্ত্রী মারা গিয়েছিল। তার সাত সন্তান ছিল। আমার দুটি সন্তান ছিল। দুই সন্তান ছাড়াও, জোহানা মাজিবুকোর ৫০ জন নাতি-নাতনি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার স্বামীর প্রচুর গরু ও ঘোড়া ছিল। বিয়ের পর ফার্মের কাজও করতাম। প্রেসের কাজও করেছি। কিছু সময় ক্লিনিং-এর কাজও করেছি।
আরও পড়ুন- বাড়তি ওজন কমাতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি, প্রয়াত জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী
আরও পড়ুন- গর্ভবতী মহিলাদের কি আম খাওয়া উচিত, জেনে নিন এই সময় আম খাওয়া উপকারী কি না
আরও পড়ুন- ১৮ বছরের আগেই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত, ভারতীয় ছেলেদের পিছনে রেখে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা
গিনেস বুকে নাম লেখার দাবি
জোহানা এখন আর ঠিকমতো শুনতে পায় না কিন্তু তারপরও সবকিছু খুব ভালোভাবে দেখতে পায়। তিনি বলেন, শরীর এখন শক্ত হতে শুরু করেছে, চলাচলে অসুবিধা শুরু হয়েছে। মানুষকে হাঁটতে দেখলে মনে হয় আমিও হাঁটতে পারতাম। একই সময়ে, জোহানের ঘনিষ্ঠরা বিশ্বাস করেন যে তাঁদের কাছে তাঁর আইডি কার্ড রয়েছে এবং তাঁর ভিত্তিতে জোহানার নাম গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা হিসাবে থাকা উচিত।