শুনসান রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। কর্ডন করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অলি-গলিও। থমথমে গোটা এলাকা। বুধবার সকালে এমনই ছবি ধরা পড়ল হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায়, বেলিলিয়াস রোডে। গভীর রাতে পুলিশি অভিযানে দশজন ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাক্ষেত্রে নয়া নজির, রাজ্যে স্নাতকোত্তর স্তরের পাঠক্রমে ঢুকল করোনা ভাইরাস
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার বিকেলে। লকডাউন উপেক্ষা করে আচমকাই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন প্রচুর মানুষ। রীতিমতো ভিড় জমে যায় টিকিয়াপাড়ার বেলিলিয়াস রোডে। পুলিশ যখন ভিড় সরাতে যায়, তখনই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। জনরোষের মুখে পুলিশকর্মীরা। তাঁদের লক্ষ্য করে শুরু হয় ইঁটবৃষ্টি, ছোঁড়া হয় বোতলও। গুরুতর আহত হন দু'জন। ভাঙচুর চলে পুলিশের দুটি গাড়িতেও। শেষপর্যন্ত বিশাল পুলিশবাহিনী ও ব়্যাফ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাওড়ার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টিকিয়াপাড়ায় বেলিলিয়াস রোড-কে 'হটস্পট' হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। এলাকায় জারি করা হয়েছে সম্পূ্র্ণ লকডাউন। রাস্তায় কাউকে জমায়েত করতে দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, মঙ্গবার দুপুরেও বেলিলিয়াস রোডে টহল দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু বিকেলে ফল কেনার জন্য বেরোন অনেকেই। রাস্তায় ভিড়ও বাড়তে থাকে। বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় পথচারীরা। এরপরই পুলিশকর্মীদের উপর চড়াও হয় উন্মত্ত জনতা।
আরও পড়ুন:রেডজোন থেকে ১৫০ কিমি সাইকেল চালিয়ে বাপের বাড়ি, হুলুস্থুলু কাণ্ড লালগড়ে
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় আগাম সতর্কতা, পুলিশকর্মীদের জন্য চালু কোয়ারেন্টাইন সেন্টার
ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় প্রশাসনিকমহলে। রাতেই অপসারিত হন হাওড়ার পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা। নবান্ন তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়. আপাতত পুর কমিশনারের দায়িত্ব সামলাবেন হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক ধবল জৈন। শুধু তাই নয়, ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে ফেলে হাওড়া সিটি পুলিশ। গভীর রাতে শুরু হয় পুলিশি অভিযান।