চাঁদা তুলে মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন পড়ুয়ারা। লকডাউনের সময়ে ত্রাণও পৌঁছে দিচ্ছেন অযোধ্যা পাহাড় লাগোয়া প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে। আর এবার স্নাতকোত্তর স্তরের পাঠক্রমেও ঢুকে পড়ল করোনা ভাইরাস বা কোভিভ-১৯! পুরুলিয়ার সিধু-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যকে পথ দেখাল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাওড়ার পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বড় সিদ্ধান্ত নবান্নের,রাতেই শুরু ধরপাকড়
করোনা ভাইরাসের ধাক্কায় বেসামাল জনজীবন। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, জানা নেই কারও। যতদিন যাচ্ছে, আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। লকডাউন আপাতত প্রত্যাহারের কোন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এই কঠিন সময়ে পুরুলিয়া জেলা জুড়ে কাজ করছে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। কমিউনিটি কিচেনের মাধ্যমে শবর-বেদিয়া-মাহালির মতো প্রান্তিক জনজাতির মানুষের জন্য যেমন খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তেমনি পড়ুয়াদের জন্য চালু হয়েছে ই-লার্নিংও। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কর জানিয়েছেন, 'বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে গভীর ছাপ ফেলেছে। স্নাতকোত্তরে সমাজবিদ্যা, অর্থনীতি হিসাবশাস্ত্র, ভূগোল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শনের মতো বেশ কিছু বিষয়ের Dissertation পেপার বা প্রজেক্টের জন্য এবার COVID-19 বিষয়ে বরাদ্দ থাকবে ৫০ নম্বর।'
আরও পড়ুন: করোনা থেকে মুক্তি, ফের শিলিগুড়ির কোভিড হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন দুই নার্স ও এক বৃদ্ধা
আরও পড়ুন: লকডাউন ভাঙলেই ক্য়ামেরাবন্দি, শ্রীরামপুরে বেলুন থেকে লকডাউনে নজরদারি প্রশাসনের
এখানেই শেষ নয়। পুরুলিয়া জেলায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়ার জন্যও আলাদা প্রকল্প নিয়েছে সিধু-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিবন্ধীদের মাসে এক হাজার টাকা করে অনুদান দেয় রাজ্য সরকার। প্রকল্পটির নাম 'মানবিক'। কিন্তু সকলেই যে এই প্রকল্পের সুবিধা পান, তা কিন্তু নয়। যাঁরা এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করাননি, সেইসব বিশেষ চাহিদাম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের খুঁজে বের করে খাদ্যসামগ্রী ও মাস্ক দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বস্তুত, করোনা মোকাবিলায় ‘ইমিউন ভিলেজ’ গঠনের ভাবনাতেও দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঠেক্কা দিয়েছে পুরুলিয়ার সিধু-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়।