আনাজপাতি থেকে মুদিখানার সামগ্রী, পাওয়া যাচ্ছে সবই। দাম? মাত্র পঞ্চাশ টাকা! বিশ্বাস না হলে চলে যান হাওড়ার বাগনানে। অভিনব এই বাজারকে কেন্দ্র করে রীতিমতো সাড়া পড়ে দিয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: দিল্লি সফরে 'বিপদ' বাড়ছে, করোনা সংক্রমিত আরও এক আরপিএফ জওয়ান
দেখতে দেখতে একমাস পেরিয়ে গেল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও লক্ষণই নেই। যতদিন যাচ্ছে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আরও কতদিন যে দুর্ভোগ পোহাতে হবে, কে জানে! লকডাউনের জেরে বাঁচার লড়াইটা কঠিন হচ্ছে ক্রমশই। রাজ্যের সর্বত্রই ত্রাণ বিলির ব্যবস্থা করেছে সরকার। রেশন থেকে বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে খাদ্যসামগ্রীও। যাঁদের সার্মথ্য আছে, তাঁরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাল, ডাল বিলি করছেন অনেক জায়গায়। কিন্তু ঘটনা হল, চরমে দুর্দিনেও হাত পেতে ত্রাণ বা সাহায্য নিতে চাইছেন না মধ্যবিত্ত শ্রেণির বহু মানুষ। আত্মসম্মানে লাগছে তাঁদের। তাহলে উপায়? হাওড়ার বাগনানে যৎসামান্য টাকার বিনিময়ে আনাজ ও খাদ্যসামগ্রী বিলি করার ব্যবস্থা করেছেন এক ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: রাজ্যের ১০ টি জেলা এখনও রয়েছে করোনার রেড জোনে, একনজরে চোখ বুলিয়ে নিন আপনি রয়েছেন কোথায়
আরও পড়ুন: বিজেপি কার্যালয় থেকে উদ্ধার চালের বস্তা,রেশন ডিলারকে শোকজ
'আনন্দ নিকেতন' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত সরকার। লকডাউন ঘোষণার হওয়ার পর এলাকায় চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, এমনকী সাবান ও স্যাটিটাইজারও বিলি করা হয় ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে। কিন্তু তাতে যে সকলেই উপকৃত হয়েছেন, তা কিন্তু নয়। শ্রীকান্ত সরকারের দাবি, মধ্যবিত্ত শ্রেণির বহু মানুষই 'বিনাপয়সার দান' নিতে চাননি। তাঁদের জন্য় সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাজার বসিয়েছেন তিনি। সেই বাজারে গিয়ে যাই কিনুন না, খরচ হবে মাত্র পঞ্চাশ টাকা। বাগনান তো বটেই, হাওড়ার জয়পুর, আমতা ও পাশ্ববর্তী জেলা পূর্ব মেদিনীপুর থেকেও বহু মানুষ সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।