প্রেমের নৃশংস পরিণতি - বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া থেকে শুরু করে প্রেমে প্রতারণায়, ফিরে দেখুন ১০টি ভয়ঙ্কর হত্যালীলা

দিল্লিতে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা এক প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় হত্যা করেছে।  তোলপাড় গোটা দেশ।  এর আগেও এজাতীয় এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। যা দেখে রীতিমত ঠান্ডা হয়ে যায় রক্ত। কথনও ভালবাসার মানুষকে খুন। কখনও আবার গোটা পরিবার শেষ হয়ে গেছে।

Saborni Mitra | Published : Nov 14, 2022 5:43 PM IST / Updated: Nov 14 2022, 11:34 PM IST
111
প্রেম করলেই বিয়ে


সব প্রেমই কি পরিণতি পাবে? প্রেম করলেই কিয়ে বিয়ে করতে হবে? এই নিয়ে অনেক তর্ক রয়েছে। কিন্তু নিজের প্রেমকে পরিণতি দেওযার আর কাছের মানুষকে চিররতে নিজের করে রাখার জন্য অনেক সময়ই প্রেমিকা বা প্রেমিক অপরের ওপর চাপ তৈরি করে। আর অনেক সময়ে তার পরিণতি হয় ভয়ঙ্কর। আসুন এমনই ১০টি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ফিরে দেখি যেখানে নিজের প্রেমের জন্য অপরজনকে খুন করতে হাত কাঁপেনি কাছের মানুষের। 

211
রাজপুত প্রেমিকের হাতে খুন দলিত প্রেমিকা

প্রেম ছিল। কিন্তু বিয়ে করতে নারাজ ছিল। আর সেই কারণে ২০২১ সালের জুলাই মাসে এক রাজপুত প্রেমিক তার দলিত প্রেমিকাকে খুন করে পুঁতে দিয়েছিল মাঠের মধ্যে। মধ্য প্রদেশের এই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। দলিত প্রেমিকার সঙ্গে প্রমান লোপাটের জন্য তার পরিবারের আরও চার সদস্যকেই খুন করেছিল। রূপালি কাস্তা নামের ওই দলিত মেয়ের প্রেমিক সুরেন্দ্র চৌহানকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। 

311
প্রেমিকার আশ্বাসে ঘর ছেড়ে খুন প্রেমিকা

প্রেমিকের আশ্বাসকে নিজের ঘর পরিবার সব থেকে ছেড়ে বেরিয়েও খুন হতে হয়েছিল হায়দরাবাদের ১৯ বছরের ছাত্রী এমসাই প্রিয়াকে। প্রেমিক শ্রীশৈলম পরিবারের অমতে বিয়ে করতে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু নিজেদের মধ্যে বচসার জেরে প্রিয়াকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিল প্রেমিক। ফোনের কল রেকর্ড থেকে খুনের রহস্যের কিনারা করেছিল পুলিশ। 

411
দেওয়র বৌদির প্রেমের কাঁটা স্বামী

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ঠাণ্ডা মাথায় স্বামীকে খুন করল স্ত্রী। বটির এক কোপেই খুন স্বামী! দেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখার অভিযোগ। নদীয়ার হরিণঘাটা থানার মোল্লা বেলিয়া এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম আজিজুল মন্ডল (৪৫)। বাবাকে খুনের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী নাবালিকা মেয়ে সব জানিয়ে দিল পুলিশকে। এরপরেই আটক স্ত্রী হামিদা বিবি। 'কাকা ও মা মিলে বটির কোপ মারে বাবার মাথায়' জানাল নাবালিকা। পলাতক কাকা সমীর ঘোষ। তদন্তে হরিণঘাটা থানার পুলিশ। চলতি বছর নভেম্বর মাসে এই খুনকে কেন্দ্র করে রীতমত চাঞ্চল্য ছড়ায়।

511
সজল বারুই এখন গ্যাংস্টার


এককথায় এই ব্যারাকপুরের সজল বারুই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাবা, সৎমা আর সৎভাইকে খুন করে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে সালটা ১৯৯৩।   সজলের মাকে ছেড়ে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে নতুন করে ঘর বেঁধেছিল সজলের বাবা। আর তাতেই বাবা -নতুন মাকে সরিয়ে ফেলার ছক কষেছিল সজল। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনটি খুন আর তিনটি দেহের সঙ্গে প্রায় ১২ ঘণ্টা কাটিয়েছিল। যা তদন্তকারীদেরও রীতিমত অবাক করে দিয়েছিল। তবে সজল কিন্তু এখন মুম্বইয়ের গ্যাংস্টার। বন্ধুদের নিয়ে খুন করেছিল সজল। ডাকাতির মত করে সাজিয়েছিল ঘটনা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশের দীর্ঘ জেরার কাছে ভেঙে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করে সজল। 
 

611
বারাসতের মনুয়াকাণ্ড

প্রেমিক অজিতের সঙ্গে যোগসাজেশ করে স্বামী অনুপম সিংহকে হত্যা করেছিল স্ত্রী মনুয়া। ২০১৭ সালে বেসরকারি সংস্থার কর্মী অনুপমকে তাঁর বাড়িতেই হত্যা করা হয়েছিল। তাঁকে থেঁতলে হত্যা করা হয়। বিয়ের আংটি পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায় আততায়ী। আর স্বামীর শেষ আর্তনাদ নিজে কানে শুনবে বলে প্রেমিককে ফোনে ফোন করেছিল মনুয়া। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই পুলিশ অনুপনকে খুন করার অভিযোগ মনুয়া আর অজিতকে গ্রেফতার করে। 

711
অক্সিটাউন হত্যাকাণ্ড


ঠাকুরপুকুরের অক্সিটাউন হত্যাকাণ্ডের রেশ এখনও রয়েছে গেছে খুন হওয়া মৌসুমীর সন্তানদের ওপর। মা খুন হয়েছে। বাবা জেলে। চরম অসহয় আবস্থায় কেটেছে শৈশব। সুপারি কিলার দিয়ে স্ত্রীকে খুন করিয়েছিলেন কর্মসূত্রে বাইরে থাকা স্বামী অভীক। স্ত্রীর হত্যাকাণ্ড দেখে ফেলায় খুন করা হয়েছিল পরিচালিকাকেও। ঘর ভরে ছিল রক্তের ছাপ। চুরি করা হয়েছিল টাকা, সোনা, আর দামি জিনিস। ২০১০ সালের এই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল বাংলা। মৌসুমীর স্বামী অভীকের আগেও একটা বিয়ে হয়েছিল। 
 

811
আরও এক অক্সিটাউন হত্যাকাণ্ড

 
১৯৯৯ সাল। গৃহশিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর প্রেম। গর্ভাবতী ছাত্রীর বিয়ের জন্য চাপ। কিন্তু বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ গৃহশিক্ষক ছাত্রীকে প্রত্যাখ্যান করে। এখানেই শেষ নয়। ঘটনা যাতে গোপন থাকে সেই কারণে পাল পরিবারের চার সদস্য সোহিনী (২২), ত্রিপর্ণা (১৬), মজুলিকা (৫১) এবং বিদ্যুৎ (৫৫)কে খুন করে বলে অভিযোগ। তাদের রক্তাক্ত দেহ হত্যার পাঁচ দিন পরে উদ্ধার হয়। প্রতিবেশীরা দুর্গন্দ পেয়েই পুলিশে খবর দেয়। যদিও এই ঘটনার সত্যতা প্রমান হয়নি। গৃহশিক্ষক লক্ষ্মীনায়ারণ চক্রবতী বেকুসুর খালাস পেয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন পাল পরিবারের খুনিরা খুলে আম ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদিও প্রতিবেশীদের মতে সুপারি কিলার দিয়েই খুন করা হয়েছিল চার জনকে।

911
সমরেশ-সুচেতার প্রেমের নৃশংস পরিণতি


গঙ্গার ঘাটে স্যুটকেস জলে ভাসিয়ে দিচ্ছিল এক স্যুটবুট পরা ব্যক্তি। যা দেখেই সন্দেহ হয়। তারপরই  স্থানীয়রা ঘিরে ধরে আসে পুলিশ। তারপরই সামনে আসে এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ব্যাঙ্ক অফিসার আর স্কুল শিক্ষকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের করুণ পরিণত। দুর্গাপুরে একটি সরকারি ব্যাঙ্কে কর্মরত ছিলেন সমরেশ সরকার । সেখনেই থাকতেন সুচেতা। তাঁর স্বামী উত্তর ২৪ পরগনার স্কুল শিক্ষক। অন্যদিকে সমরেশই বিবাহিত। এক ছেলে রয়েছে। কিন্তু  সুচেতারও এক মেয়ে রয়েছে। তারপরেই সমরেশকে বিয়ের জন্য জেদ ধরে বসেছিলেন সুচেতা। কিন্তু বিয়েতে নারাজ সমরেশ সুচেতা আর তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর দেহ কেটে কেটে দুটি ট্রলি ব্য়াগে ভরে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিতে চেয়েছিল প্রমাণ লোপাটের জন্য। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। 
 

1011
বহরমপুরের কলেজ ছাত্রী সুতপা খুন



মালদহের ইংরেজবাজার থানা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন সুতপা চৌধুরী। এলাকার এয়ারভিউ অ্যাপার্টমেন্টে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি। এই পাড়াতেই পিসির বাড়িতে থাকত সুশান্ত চৌধুরী। পাটনায় একটি কলেজে এমসিএ নিয়ে পড়াশোনা করছিল। পড়াশোনায় মেধাবী সুশান্তের সঙ্গে সুতপার দীর্ঘদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে। এমনকী পাড়ার কিছু বাসিন্দারাও জানিয়েছেন সুশান্ত ও সুতপার মধ্যে একটা সম্পর্ক ছিল। কিন্তু একচা সময়ের পরে সুতপা আর সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চাননি। আর সেই কারণেই কলেজ ছাত্রীকে হত্যা করেছেন প্রাক্তন প্রেমিক। 
 

1111
প্রেমিকার দেহের ওপর করব

২০১৭ সালে বাঁকুড়ার অকাঙ্খা শর্মার দেহ ভূপালে কবর খুঁড়ে উদ্ধার করেছিল পুলিশ। আমেরিকায় চাকরি করতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল অঙ্কিতা।তারপর সাত মাস খোঁজ নেই।  তদন্তে নেমে বাঁকুড়ার পুলিশ ভোপালের বাসিন্দা উদয়ন দাসের খোঁজ পায়। পুলিশ জানতে পেরেছিল ফেসবুকে আলাপ। তারা লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছে।  কিন্তু আকাঙ্খার প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ মেনে নিতে পারত না উদয়ন। এই নিয়ে একাধিকবার সমস্যা হয়েছিল দুজনের মধ্যে। কিন্তু তা একদিন মারাত্মক আকার ধারন করে। তারপরই প্রেমিকের হাতে খুন হয় প্রেমিকা। তবে প্রেমিকার দেহ ট্রাঙ্কে ভরে সিমেন্ট দিয়ে পাকা বেদি তৈরি করে প্রেমিক। সেখানেই চলত পুজো। গ্রেফতার করেছিল উদয়নকে।

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos

Recommended Photos