২০১৬ সালে ৩৯টি, ২০১৭ সালে ৪২টি, ২০১৮ সালে ২৫টি, ২০১৯ সালে ২৭টি এবং ২০২০ সালে ২৮টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ বছরও প্রায় দুই ডজন খুনের পরিসংখ্যান আসতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
ঝাড়খণ্ডে প্রতিনিয়তই কুসংস্কারের নামে খুন ও মহিলাদের উপর অত্যাচারের খবর আসছে। কখনও ছোটখাটো ঘটনা আবার কখনো হৃদয় বিদারক বড় ঘটনার কথা শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। এবার এই নিয়েই সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে গত ২২ বছরে এই রাজ্যে ডাইনি অপবাদে এক হাজারেরও বেশি মানুষকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত সাত বছরে ডাইনি অপবাদে ঝাড়খণ্ডে প্রতি বছর গড়ে ৩৫টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। ক্রাইম রিসার্চ ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে ডাইনি অপবাদে ৪৬ জনকে খুন করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে ৩৯টি, ২০১৭ সালে ৪২টি, ২০১৮ সালে ২৫টি, ২০১৯ সালে ২৭টি এবং ২০২০ সালে ২৮টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।
২০২১ সালের পরিসংখ্যান এখনও পুরোপুরি সংকলিত হয়নি। তবে এ বছরও প্রায় দুই ডজন খুনের পরিসংখ্যান আসতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এইভাবে, সাত বছরে মৃতের অঙ্কটি মোট ২৩০ এর বেশি। ডাইনি আখ্যা দিয়ে নির্যাতনের মামলার কথা বললে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত থানায় মোট ৪৫৫৬টি মামলা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি মামলা পুলিশের কাছে পৌঁছায়। গত ছয় বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক মামলা এসেছে গাড়োয়ায়। এখানে ১২৭টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। পালামুতে ৪৪৬টি, হাজারিবাগে ৪০৬টি, গিরিডিতে ২৮৭টি, দেওঘরে ৩১৬টি, গোড্ডায় ২৩৬টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- গোয়ায় বাবুলের উপর হামলার অভিযোগকে ঘিরে রহস্য, কেন টুইট ডিলিট করলেন তৃণমূল নেতা
ডাইনি অপবাদে নির্যাতন ও হিংসতার ঘটনা এই রাজ্যে প্রায়শই বর্বরতার সব সীমা অতিক্রম করে। ঝাড়খণ্ডে নারীদের উপর নৃশংস অত্যাচার, নারীদের নগ্ন করা, চুল কাটা এবং গোপনাঙ্গে আঘাতের মতো ঘটনা প্রতিদিন খবর শিরোনাম হয়। সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত চন্দোশ্রী বলেন, ডাইনি অপপ্রচারের পেছনে রয়েছে কুসংস্কার ও অশিক্ষা। কখনও কখনও বিধবা ও অসহায় নারীদের সম্পত্তি দখলের জন্য তাদের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র করা হয়। সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব, কারও মৃত্যু, এমনকি পশু মারা ও গাছ শুকিয়ে যাওয়ার জন্যও গ্রামে নারীদের ডাইনি অপবাদের ঘটনা প্রায়শই শোনা যায়।
আরও পড়ুন- দিব্যাঙ্গ নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই