মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে এর আগে দলের অন্দরে সিধু ও সুনীল জাখড়কে নিয়ে আলোচনা করছেন কেউ কেউ। এখন প্রশ্ন উঠেছে, কেন চান্নিকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করা হল এবং এই ঘোষণা কি দলের অন্দরমহলের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাবে?
মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে পঞ্জাব কংগ্রেসের রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের অস্থিরতার অবসান হল। রাহুল গান্ধী রবিবার নভজ্যোত সিং সিধুর সেলিব্রিটি মুখের চেয়ে চরণজিৎ সিং চান্নির দলিত মুখ বেছে নিয়েছেন। এটা যে হঠাৎ করে হয়েছে তা নয়। বহুদিন ধরেই তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। মনে করা হচ্ছিল কংগ্রেসের (Punjab Congress) তরফে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন চরণজিৎ সিং চান্নি (Charanjit Singh Channi will be the Chief Ministerial candidate)। তবে হ্যাঁ, দলের অন্দরে সিধু ও সুনীল জাখড়কে নিয়ে আলোচনা করছেন কেউ কেউ। এখন প্রশ্ন উঠেছে, কেন চান্নিকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করা হল এবং এই ঘোষণা কি দলের অন্দরমহলের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাবে?
এই ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দিনটি পঞ্জাবের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই দিনেই পাঞ্জাবের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি হঠাৎ করেই মুখ্যমন্ত্রী হন। হঠাৎ করেই গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে সরিয়ে চান্নির নামে বাজি রেখেছিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি হয়েও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি নভজ্যোত সিং সিধু। সহজ কথায় কংগ্রেস হাইকমান্ডের এই বাজি কাজ করেছে। পাঞ্জাব প্রথম দলিত মুখ্যমন্ত্রী পেল এবং এর মাধ্যমে চরণজিৎ চান্নির রাজনৈতিক উত্থানের গ্রাফ খুব দ্রুত বাড়তে শুরু করে। এদিকে পাঞ্জাবে ৩২ শতাংশ দলিত ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন - ববিতা ফোগটের কনভয়ে হামলা, প্রচারের মাঝেই বিরোধীদের তীব্র ভাষায় কটাক্ষ তারকা প্রার্থীর
এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র দলিত ভোটকে টার্গেট করে কোনও রাজনৈতিক দলই এই ভাবে ভোটের ময়দানে ঝাঁপায়নি। এবার সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই নতুন উদ্যোমে প্রচার শুরু করেছে কংগ্রেস। এখন প্রশ্ন উঠছে কেন সিধু ও সুনীল জাখরকে নির্বাচন করা হয়নি? উত্তর সহজ। সিধু জট্ট-শিখ সমাজ থেকে এসেছেন। সিধুকে বেছে না নেওয়ার বড় কারণও তার বেশি কথা বলা। কখনও কখনও সিধু এত কথা বলেন যে কেবল তাঁর দলের নেতারাই অস্বস্তিতে পড়েন। পাঞ্জাবে তার সম্প্রদায়ের প্রায় ১৯ শতাংশ ভোট রয়েছে। অন্যদিকে সুনীল জাখর পঞ্জাব কংগ্রেসের একজন বড় হিন্দু নেতা। যদিও পঞ্জাবে হিন্দু ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩৯%, তবে শিখদের তুলনায় অনেক কম। এই কারণেই রাজনৈতিক দলগুলি কেবল শিখদের উপর তাদের বাজি রাখে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর আরও দুটি প্রশ্ন উঠছে। প্রথমত, সিধু কি এত সহজে কংগ্রেস নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন? আর দ্বিতীয়ত, আগামী দিনে চান্নির সামনে কী কী অসুবিধা হতে পারে? যা নিয়েই বর্তমানে নতুন করে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন - মুম্বইয়ের বড় অংশের ডিভোর্স হয় যানজটের কারনেই, দেবেন্দ্র ফড়নবিশে স্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য