বাবা দেশের করোনা যোদ্ধা, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল চিকিৎসকের ১৫ মাসের অসুস্থ কন্যার

  • দেশের করোনা যুদ্ধে সামনে থেকে লড়ছেন চিকিৎসকরা
  • প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা করছেন তাঁরা
  • চিকিৎসকদের পরিবারের অবদানও এই যুদ্ধে কম নয়
  • অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে এই পরিবারগুলিকে

বিশ্ব জুড়ে করোনা ত্রাস সৃষ্টি করেছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষের। ছোট ছোট শিশুদের উপরেও থাবা বসাচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। দুনিয়ার সঙ্গে তাল রেখে ভারতেও বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। ইতিমধ্যে ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে ভারতের এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দিন-রাত কাজ করে চলেছেন তাঁরা। মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও অবদান কিছু কম নয়। 

Latest Videos

আয়ু শেষ হচ্ছে করোনাভাইরাসের, মহামারীর অবসান নিয়ে আশার আলো দেখালেন একদল গবেষক

দেশে ৩১ জুলাই পর্যন্ত চলুক ওয়ার্ক ফ্রম হোম, গ্রিন সিগন্যাল দিল কেন্দ্র

সংক্রমণ ঠেকাতে ১৭ মে পর্যন্ত কারফিউ জারি পঞ্জাবে, দেশে হাজারের গণ্ডি পেরোল মৃতের সংখ্যা

এদেশে চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশকর্মীদের পরিবার প্রতিনিয়ত কাটাচ্ছে উৎকন্ঠার মধ্যে। কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁদেরও করতে হচ্ছে অনেক ত্যাগ স্বীকার। এমনি এক ঘটনার সাক্ষী থাকল মধ্যপ্রদেশের হোশঙ্গাবাদ। চিকিৎসক বাবা মেয়ের অসুস্থতার খবর শুনেও আসতে পারলেন না বাড়িতে। বিনা চিকিৎসায় মারাই গেল ১৫ মাসের সন্তান। 

মধ্যপ্রদেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। সবচেয়ে আক্রান্ত হয়েছে ইন্দোর। এখানেরই এক সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন চিকিৎসক দেবেন্দ্র মেহেরা। ১৫ মাসের মেয়ে অসুস্থ হয়েছে জানতে পেরেও বাড়ি আসতে পারেননি তিনি। তার মাশুলই গুনতে হল এই চিকিৎসককে,  আর দেখা হল না নিজের জীবিত সন্তানের সঙ্গে। 

সরকারি হাসপাতালগুলিতে এখন করোনা রোগীদের ভিড়। মহামারী ছড়িয়ে পড়ায় দায়িত্ব ক্রমেই বাড়ছে চিকিৎসদের। এই পরিস্থিতিতে দেশের অনেক চিকিৎসকই করোনা সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন। দেবেন্দ্র মেহেরা নিজে এখনও সুস্থ থাকলেও তাঁর কাছে এসে পৌঁছেছিল ১৫ মাসের মেয়ের অসুস্থতার খবর। শিশুটি হাইড্রোসেফালাসে ভুগছিল। কিন্তু এই কঠিন পরিস্থিতিতে হাসপাতাল ভর্তি রোগীকে চিকিৎসা না করে বাড়ি যেতে চাননি দেবেন্দ্র। নিজের কর্তব্যে পালন করতে গিয়ে তাই বিশাল মূল্য চোকাতে হল এই চিকিৎসককে। 

 

 

অবশেষে বাড়ি যেতেই হল চিকিৎসক দেবেন্দ্র মেহেরাকে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। নিজের ১৫ মাসের কন্যার সঙ্গে আর সময় কাটাতে পারলেন না চিকিৎসক। ডিউটি করার মাঝেই তাঁর কাছে এসে পৌঁছয় চরম দুসংবাদ। এরপর এডিএমের অনুমতি নিয়ে বাড়ির পথে রওনা হন তিনি।

ইন্দোর থেকে হোশঙ্গাবাদের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটারের বেশি। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এসেও দেবেন্দ্র দেখতে পারলেন না নিজের মেয়েকে। সখেদের সঙ্গেই চিকিৎসক জানান, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিল তাঁর কন্যা। মাঝে একবার মেয়েকে দেখতেও এসেছিলেন তিনি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ আকার নেওয়ায় ফের কাজে ফিরতে হয় তাঁকে। 


 

Share this article
click me!

Latest Videos

Malda-র রাস্তায় সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফ কর্মসূচি! সচেতনার বার্তা র‍্যালির মাধ্যমে
RG Kar Case Update Today : চাইলেন না চরম শাস্তি! মোক্ষম চাল দিলো অভয়ার পরিবার | Calcutta High Court
এবার আগুনের গ্রাসে অন্য এলাকা! পুড়ছে স্যান দিয়েগো কাউন্টির একাধিক অংশ San Diego fire | Wildfires
Suvendu on Kartik Maharaj : কেন পদ্মশ্রী পাচ্ছেন কার্তিক মহারাজ? খোলসা করে সবটাই বললেন শুভেন্দু
Suvendu on Trump : ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শুভেন্দু অধিকারী, কারন জানলে অবাক হবেন