ভারতের মত পাকিস্তানও করোনা সংক্রমণের শিকার। প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশটিতে ছড়িয়ে পড়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণও। এই পরিস্থিতিতেও নিজেদের স্বভাব থেকে পিছু হটল না পাকিস্তান। ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালাল পাকিস্তানি সেনা। জম্মু-কাশ্মীরের বারামুল্লায় পাক সেনার চালানো এই গুলির আঘাতে গুরুতর জখম হন ভারতীয় সেনার দুই জওয়ান। শনিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁদের। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও এক জওয়ান।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, বারামুল্লায় শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ হঠাৎ করেই গুলি চালাতে শুরু করে পাকিস্তানি সেনা। সেনা মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া একটা বিবৃতি দিয়ে জানান , “১ মে, দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ বারামুল্লা জেলার রামপুর সেক্টরে লাইন অফ কন্ট্রোলের ওপার থেকে হঠাৎ করেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি যুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালানো শুরু করে।”
আরও পড়ুন: মৃত্যু নিয়ে যাবতীয় জল্পনায় জল ঢাললেন, ২০ দিন পর বহাল তবিয়তে প্রকাশ্যে এলেন কিম
অতর্কিতে এই হামলায় ভারতীয় সেনার তিন জওয়ান আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই জওয়ান গুরুতর আহত ছিলেন। শনিবার সকালে তাঁদের মৃত্যু হয়। এদিকে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে পাক গুলির জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। সেনার চালানো গুলিতে পাক বাহিনীর একাধিক বাঙ্কারের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সেনা। যদিও পাক সেনার তরফে সেই দাবির ব্যাপারে কোনও পাল্টা উত্তর দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে রেমডেসিভির, অনুমোদন দিয়ে দিল মার্কিন প্রশাসন
করোনা পরিস্থিতিতে দুই দেশেই যখন লকডাউন চলছে তখন প্রায় প্রতিদিনই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালাচ্ছে পাক সেনা। এর আগে ৩০ এপ্রিল লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর পুঞ্চ সেক্টরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালানো শুরু করেছিল পাক সেনা। ২৯ ও ২৮ এপ্রিলও পুঞ্চ সেক্টরে গুলি চালায় তারা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জঙ্গিদের ভারতে অনুপ্রবেশ করানোর জন্য কভার হিসেবে এই গুলি চালাচ্ছে পাক সেনা। ভারতীয় সেনার দৃষ্টি নিজেদের দিকে রাখার জন্যই এই কাজ করছে তারা। তবে যে কোনও অনুপ্রবেশ রোখার জন্য ভারতীয় সেনা তৈরি আছে বলেই জানা গিয়েছে সেনার তরফে।
রিপোর্ট বলছে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে সর্বাধিক হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ১১৪৪টি হামলা হয়েছে। মার্চ মাসেই হয়েছে ৪১১টি হামলা। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ৬৮৫টি হামলা হয়েছে। সেখানে জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ২০১৮ সালে হয়েছে ৬২৭টি হামলা।