লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল, তবে অবশেষে ঋষি কাপুরের ইচ্ছাপূরণ করল সরকার

আরও একবার বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ

তবে এইবার গত দুইবারের থেকে কিছুটা কড়াকড়ি কম

মদের দোকান খোলার অনুমতি দিল সরকার

প্রয়াত ঋষি কাপুর প্রথম লকডাউনের সময় এই দাবি করেছিলেন

Asianet News Bangla | Published : May 1, 2020 3:48 PM IST / Updated: May 01 2020, 09:27 PM IST

বৃহস্পতিবারই প্রয়াণ ঘটেছে বলিউড অভিনেতা ঋষি কাপুরের। তারপরদিন কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনের মেয়াদ আরও একবার বাড়ালো। কিন্তু, মেয়াদ বাড়ালেও অবশেষে ঋষির ইচ্ছাপূরণ করলো সরকার। গ্রিন হোক কি কমলা হোক কিংবা রেড জোন ভুক্ত জেলা হলেও, ৪ মে থেকে তৃতীয় দফার লকডাউনে সসব রাজ্যেই মদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হল।

এদিন বিকেলে প্রকাশিত নতুন লকডাউন গাইডলাইনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সবুজ ও কমলা অঞ্চলের পাশাপাশি কন্টেইনমেন্ট জোনের বাইরে বা রেড জোনের হটস্পট এলাকাগুলির বাইরে মদ এবং তামাকের দোকানগুলি আবার খোলার অনুমতি দিয়েছে। তবে একক দোকানগুলির জন্যই এই অনুমতি প্রযোজ্য। শপিং মল বা শপিং কমপ্লেক্সের ভিতরে মদ এবং তামাকজাত দ্রব্যের দোকানগুলি বন্ধই থাকবে। সেইসঙ্গে বিক্রেতাদের অবশ্যই সমস্ত ক্রেতার মধ্যে দুই মিটার দূরত্ব রাখা নিশ্চিত করতে হবে।

গত ২৪ মার্চ প্রথমবার ভারতে ২১ দিনের লকডাউন-এর ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর থেকে এখনও অবধি ভারতে বন্ধই রয়েছে মদের দোকান। এরমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নিয়মিত মদ্যপায়ীর মৃত্যু হয়েছে আচমকা মদ না পেয়ে কিংবা মদের অভাবে তারা আত্মহত্যা করেছেন। কেউ কেউ আবার হ্য়ান্ড স্যানিটাইজার-এ অ্যালকোহল আছে শুনে, তা খেতে গিয়ে বিপদ ডেকে এনেছেন।

লকডাউন জারির তিন দিনের মাথাতেই অনেকের মনের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলাখুলি লিখে জানিয়েছিলেন সদ্যপ্রয়াত ঋষি কাপুর। দুটি টুইটে তিনি বলেছিলেন, 'আমার মতে, সন্ধ্যায় কিছু সময়ের জন্য সরকারের লাইসেন্সযুক্ত মদের দোকানগুলি খোলা উচিত। ভুল বুঝবেন না, মানুষ ঘরে বসে থাকবে এই হতাশার মধ্যে, চারপাশের অনিশ্চয়তার মধ্যে। পুলিশ, ডাক্তার, থেকে শুরু করে সাদারণ মানুষেরও কিছুটা মানসিক শৈথিল্য দরকার। এমনিতেই ব্ল্যাকে বিক্রি হচ্ছে। রাজ্য সরকারগুলির রাজস্বেরও প্রয়োজন। বিষন্নতার মধ্যে আরও হতাশা যোগ করা উচিত নয়। পান যখন চলছেই তখন ভণ্ডামি না করে তার বৈধকরণ করা উচিত'।

মৃত্যুর পরের দিনই তাঁর ইচ্ছাপূরণ ঘটল। বিভিন্ন রাজ্য সরকার গুলিও মদের দোকান চালু করার জন্য সসরকারের উপর চাপ দিয়েছিল। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে সরাসরি চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন খোলা বাজারে সবজি বিক্রি হতে পারলে বোতল বন্দি মদ কেন বিক্রি করা যাবে না? আসলে লকডাউনের ফলে এমনিতেই সরকারের আয় নেই, তার উপর মদ বন্ধ থাকায় রাজস্বের একটা বড় অংশ কাটা যাচ্ছিল রাজ্য সরকার গুলির। প্রথম লকডাউনের মধ্যেও অসম ও মণিপুরে মদের দোকান খোলা ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় বন্ধ করে দেওয়া হয়।

 

Share this article
click me!