Kulgam encounter: প্রতিশোধ নিল সেনা, গুলির লড়াইয়ে খতম দুই জঙ্গি

দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় টানা গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গি খতম হয়েছে বলে খবর। কুলগামে রেডওয়ানি এলাকায় এদিন সকালে এনকাউন্টার শুরু হয়।  

Parna Sengupta | Published : Dec 16, 2021 6:23 AM IST

শ্রীনগরে পুলিশ বাসে হামলার ঘটনার প্রতিশোধ নিল ভারতীয় সেনা। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায়(South Kashmir's Kulgam district) টানা গুলির লড়াইয়ে(encounter) দুই জঙ্গি(Two terrorists) খতম হয়েছে বলে খবর। কুলগামে রেডওয়ানি এলাকায়(Redwani area) এদিন সকালে এনকাউন্টার শুরু হয়। জম্মু কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান চলছে। 

১৪ই ডিসেম্বর পুঞ্চ সেক্টরে (Poonch Sector) নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে খতম হল কুখ্যাত পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী আবু জারার (Abu Zarar)। তার উপর ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর বড় মাপের হামলা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এই ভাবে তাকে কাজে লাগিয়ে পুঞ্চ-রাজৌরি (Poonch-Rajouri) অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদকে পুনরুজ্জীবিত করার চক্রান্তে কষা হয়েছিল সীমান্তের ওইপার থেকে। জারারের মৃত্যুতে সেই পরিকল্পনা পুরোপুরি ব্যর্থ হল। 

জানা গিয়েছে আবু জারার, একজন পাকিস্তানি (Pakistani) নাগরিক। চলতি বছরের অগাস্টে তাঁকে প্রথম পুঞ্চ জেলায় (Poonch Sector) দেখা গিয়েছিল। এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, এদিন, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সহযোগিতায় সেনাবাহিনীর এক 'ক্লিনিকাল অপারেশনে' তাকে খতম করে। এটা নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য একটি বড় সাফল্য। কারণ নিরাপত্তা বাহিনীর উপর আক্রমণ চালানো ছাড়াও পীর পঞ্জল অঞ্চলের (Pir Panjal) দক্ষিণে সন্ত্রাসবাদকে ফের জাগিয়ে তোলার কাজে যুক্ত ছিল সে। স্থানীয় যুবকদের জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে।

নিরাপত্তা সূত্রে জানানো হয়েছে, স্থানীয় জনগণের সক্রিয় সমর্থন ছাড়া, এদিনের ক্লিনিকাল অপারেশন সম্ভব হত না। গত অগাস্টে পুঞ্চ সেক্টরে আবু জারারকে দেখার পর থেকেই তাঁকে ধরার বা খতম করার চেষ্টায় ছিল নিরাপত্তা বাহিনী। গত কয়েক মাস ধরে সে তার সহযোগীদের নিয়ে পালিয়ে গিয়ে, গভীর জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু তাদের খাদ্য, বস্ত্র এবং সীমান্তের ওইপাড়ে জঙ্গি মাথাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার প্রয়োজন তাদের বসতি অঞ্চলে আসতেই হয়েছিল। ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনা, এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে তার গতিবিধির উপর নজর রাখছিল। একদিকে, প্রায় রিয়েল-টাইমে তার মোবাইল যোগাযোগ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল, অন্যদিকে, স্থানীয়রাও তাদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছিলেন। 

ভারতীয় সেনা জানিয়েছে সাধারণ নাগরিক ও অ-কাশ্মীরিদের ওপর হামলার পরিমাণ জম্মু কাশ্মীরে বাড়ছিল। সে কারণেই এই অভিযান শুরু হয়। সিকিওরিটি ফোর্সের তরফে জানানো হয়েছে জম্মু কাশ্মীর জুড়ে যেভাবে তল্লাশি অভিযানের হার বাড়িয়েছে সিআরপিএফ, তাতে সাফল্য এসেছে। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাওয়া খতিয়ান জানাচ্ছে এই বছরে ১৩৮ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। 

Share this article
click me!