পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে (Punjab Elections 2022) লড়তে চলেছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার (SKM) ২৫টি সংগঠন। কাদের সঙ্গে জোট করছে তারা?
আর জল্পনা নয়। সত্যি সত্যিই আগামী বছরের শুরুতে নির্ধারিত পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে (Punjab Elections 2022) লড়তে চলেছে কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনে (farmers' Protest) নেতৃত্বদানকারী কৃষক সংগঠনগুলি। সোনা যাচ্ছে, পঞ্জাবের ভোটে তাঁরা সম্ভবত আম আদমি পার্টি বা আপ (AAP) সাথে জোট বাঁধতে পারে। জানা গিয়েছে এই বিষয়ে শুক্রবার গভীর রাতে লুধিয়ানার (Ludhiana) কাছে এক স্থানে বৈঠক করেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার বা এসকেএম (SKM) নেতৃত্ব। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন, এসকেএম গঠিত হয়েছিল ৩২টি কৃষক সংগঠনের সমন্বয়ে। এক সূত্রের দাবি, এই ৩২টি সংগঠনের মধ্যে ৭ টি নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সংগঠনগুলি হলো কীর্তি কিষাণ ইউনিয়ন, ক্রান্তিকারি কিষাণ ইউনিয়ন, বিকেইউ ক্রান্তিকারি, দোয়াবা সংগ্রাম কমিটি, বিকেইউ সিধুপুর, কিষাণ সংগ্রাম কমিটি এবং জয় কিষাণ আন্দোলন। তবে বাকি ২৫টি সংগঠন সংসদীয় রাজনীতিতে নামার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। তবে তাঁরা, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ব্যানারে লড়তে পারবেন না। জানা গিয়েছে, বৈঠকে নির্বাচনে না লড়া সাতটি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে, বাকিদের নির্বাচনে এসকেএম-এর ব্যানার ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
শনিবারই এসকেএম-এর ২৫টি ইউনিয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র আরও জানিয়েছে এদিনেক বৈঠকে প্রায় এক ডজন কৃষক ইউনিয়নই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) আপ দলের সঙ্গে জোট করার পক্ষে মত দিয়েছে। আপ-কে সমর্থনের পক্ষে কৃষক নেতাদের যুক্তি ছিল, এই দল এখনও পঞ্জাবে ক্ষমতা আসার সুযোগ পায়নি। তাছাড়া কৃষি আন্দোলনের সময় দিল্লি সীমান্তে কৃষক আন্দোলনের মঞ্চে এসে তাদের সমর্থন জানিয়েছিলেন আপ নেতারা। ফলে, সাম্প্রতিককালে আপ নেতাদের তাদের বেশ সখ্যতা গড়ে উঠেছে। সেই কারণেই রাজনৈতিক সমর্থনের ক্ষেত্রে আপ-কেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন তাঁরা।
আগে থেকেই অবশ্য গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, আসন্ন নির্বাচনে লড়াই করতে পারেন কৃষক আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতা। বলবীর সিং রাজেওয়াল এবং হরমিত সিং কাড়িয়ান আপ দলের টিকিটেই ভোটে লড়বেন বলে শোনা যাচ্ছিল। এমনকী বলবীর সিং রাজেওয়ালকে আপ তাদের মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসাবেও তুলে ধরতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে। দুই কৃষক নেতাই অবশ্য সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
এর আগে নির্বাচনে না লড়লেও, আন্দোলনের দিনগুলিতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন এবং অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যের উপনির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করেছিলেন কৃষক নেতারা। তাঁরা সেই সময় কোনও বিশেষ দল বা প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেননি বা সমর্থন প্রকাশ করেননি। শুধু বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন মানুষের কাছে।