বৃহস্পতিবার পঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলা আদালত কমপ্লেক্সের দুতলার ওয়াশরুমের কাছে একটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। সেখানে নিহত হয় একজন। আহতের সংখ্যা ছিল ৬।
লুধিয়ানা আদালতের বিস্ফোরণে (Ludhiana Court Blast) নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ (Frormer Cop)। নিহতের নাম গগনদীপ সিং (Gagandeep Singh)। নিহত ব্যক্তি প্রাক্তন পুলিশ কর্মী। ২০১৯ সালে করি থেকে বরখাস্ত হয়েছিল। তারপর দুই বছর জেল খেটেছে। চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে গগনদীপ জেল থেকে মুক্ত হয়। পুলিশ সূত্রের খবর তার সঙ্গে মাদকপাচার চক্রের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।
বৃহস্পতিবার পঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলা আদালত কমপ্লেক্সের দুতলার ওয়াশরুমের কাছে একটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। সেখানে নিহত হয় একজন। আহতের সংখ্যা ছিল ৬। প্রাথমিক তদন্তের পুলিশের অনুমান, নিহত ব্যক্তি বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সেই ব্যক্তি বিস্ফোরণের সামগ্রী সরবরাহ করছিল। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই কোনও কারণে বিস্ফোরণ হয়। তাতেই মৃত্যু হয় গগনদীপের। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এটি ছিল আইইডি বিস্ফোরণ।
এই বিস্ফোরণের পর শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অডয় ভাল্লা দেশের নিরাপত্তা নিয়ে একটি বৈঠকও করেন। ইন্টেলিজেন্স ব্যুরের ডিরেক্টর অরবিন্দ কুমার, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলবিশ ফোর্স, জাতীয় তদন্ত সংস্থা প্রধানরাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিএসএর এর ডিরেক্টর জেনারেল পঙ্কজ সিং হোমে ছিলেন বৈঠকে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে এই বৈঠক। খতিয়ে দেখা হয় সংশ্লিষ্ট এলাকার নিরাপত্তার পরিস্থিতি।
এদিন কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী কিরেন রিজিজু লুধিয়ানা জেলা আদালতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন তাঁর সফরের মূল উদ্দেশ্যই হল পঞ্জাবের জনগণকে আশ্বস্ত করা। তিনি আরও বলেন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার পঞ্জাব সরকারকে সবরকম সহযোগিতা করবে।
গতকালই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি। তিনি বলেছেন দোষীদের কোনওভাবেই রেহাই দেওয়া যাবে না। পঞ্জাব নির্বাচনের আগে এজাতীয় বিস্ফোরণ নিয়ে সরকারও সতর্ক ররয়েছে। উপমুখ্যমব্ত্রী সুখজিন্দর সিং রণধাওয়া বলেছেন এই মর্মান্তিক ঘটনার পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনিও ঘটনাস্থন পরিদর্শন করেছেন।
দিল্লির রোহিনী আদালতের পরই পঞ্জাবের লুধিয়ানা আদালতের এই বিস্ফোরণ আবারও প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল আদালত চত্ত্বরের নিরাপত্তাকে। সম্প্রতি দিল্লির রোহিনী আদালতে একটি বিস্ফোরণ হয়। সেখানেই নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সম্প্রতি এক প্রতিরক্ষা গবেষক আইনজীবির সঙ্গে ব্যক্তিগত অশান্তির কারণে রোহিনী আদালতের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। যাই হোক পরপর আদালতে বিস্ফোরণের পর আইনজীবিরাও নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছেন।
Kanpur Raid: ব্যবসায়ীর বাড়িতে ১৫০ কোটি, ভোটমুখী উত্তর প্রদেশে রাজনীতি শুরু