ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য। ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনে, রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স তথা এসটিএফ (STF) এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড তথা ডিআরজির যৌথ অভিযানে ৩১ জন মাওবাদীর মৃত্যু।
ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমনে বড় সাফল্য। ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনে, রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স তথা এসটিএফ (STF) এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড তথা ডিআরজির যৌথ অভিযানে ৩১ জন মাওবাদীর মৃত্যু।
আর এই খবরে খুশি প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাইকে ফোন করে এই সাফল্যের জন্য তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ছত্তিশগড় পুলিশ জানিয়েছে, সূত্র মারফৎ তাদের কাছে খবর আসে। এরপর শুক্রবার রাত থেকেই নায়ারণপুর এবং দান্তেওয়াড়া জেলার সীমানাবর্তী অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে অভিযান শুরু করেছিল এসটিএফ এবং ডিআরজির যৌথবাহিনী।
ওরচা এবং বারসুর থানার অন্তর্গত নেনপুর-থুলথুলির জঙ্গলে শনিবার, বেলার দিকে থেকে দুই পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। পুলিশের দাবি, নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজি-এর (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি) অন্তত ৩১ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে, ছত্তিশগড় পুলিশের আইজি (বস্তার ডিভিশন) পি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, “আমরা একে-৪৭, ৭.৬২ এসএলআর এবং ইনসাসের মতো স্বয়ংক্রিয় রাইফেল সহ বিভিন্ন অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছি।”
তিনি বলেন, এখনও মাওবাদীদের সন্ধানে এলাকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ এবং সিআরপিএফ। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বিষ্ণুদেও সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করে পুলিশ এবং ডিআরজি-কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন,
তিনি লেখেন, “নকশালপন্থা তার শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে। আমাদের রাজ্য থেকে নকশালপন্থা পুরোপুরি নির্মূল হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সমস্যার সমাধানে গত ৯ মাসে দুবার আমাদের রাজ্যে সফর করেছেন। আর তিনি ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নকশালপন্থা অবসান ঘটাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।