এক হতবাক করা নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল দেশের তথ্যপ্রযুক্তি নগরী বেঙ্গালুরু। ঘুমন্ত মাকে খুন করলেন এক তথ্যপ্রযুক্তিকর্মী। এরপরেই বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সময় কাটাতে পারি দিলেন আন্দামান।
সূত্রের খবর বেঙ্গালুরুর ওই তথ্যপ্রযুক্তিকর্মীর নাম আমরুতা চন্দ্রশেখর। বছর তেত্রিশের ওই তরুণীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি খুন করেছেন নিজের মাকেই। রবিবার ভোরে ঘুমোচ্ছিলেন তার মা। সেই সময় ছুরি দিয়ে মাকে খুন করে আমরুতা। বাধা দিতে গেলে হামলা চালায় ভাই হরিশের উপরও।
আরও পড়ুন: তাজমহল ছেড়ে ক্যামেরায় গোমাতার ছবি, গুঁতো খেয়ে হাসপাতালে বিদেশি পর্যটক
আমরুতার ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছে তার ভাইও। এরপরেই নিজের বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে পালিয়ে যায় এই টেকি কন্যা। যদিও বুধবার পোর্টব্লেয়ার থেকে গ্রেফতার করা হয় আমরুতাকে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে তার সঙ্গী বছরের পঁয়ত্রিশের শ্রীধর রাওকেও। দু'জনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেঙ্গালুরু নিয়ে আসা হয়েছে।
খুনের ঘটনা সামনে আসতেই তদন্ত শুরু করে কেআর পুরম পুলিশ। রামমূর্তি নগরে যেবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। ফুটেজে দেখা যায়, এই ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুচাকার বাইকে করে বেরিয় যায় আমরুতা। সঙ্গী হিসাবে ছিল শ্রীধরও।
রাস্তার একাধিক সিসিটিভি পরীক্ষা করে দেখা যায় দু'জনেই কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরে পৌঁছয়। পুলিশ বিমানবন্দরের আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, বেশিকছুদিন আগেই পোর্টেব্লেয়ারে যাওয়ার জন্য টিকিট কেটেছিল আমরুতা ও তার সঙ্গী। সেখানে পাঁচদিনের ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের।
ভোর ৪টে নাগাদ ৫৩ বছরের মা নির্মলাকে খুন করেন আমরুতা। যদিও নিজের ভাই ৩১ বছরের হরিশকে প্রাণে মারেনি এই টেকি তরুণী।
আরও পড়ুন: অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ল যাত্রীবাহী বিমান, হয়ে গেল তিন টুকরো
হরিশ নিজেও একজন তথ্যপ্রযুক্তিকর্মী। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে আমরুতা ১৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল কয়েকজনের থেকে। সেই টাকা চাইতেই রবিবার বাড়িতে আসার কথা ছিল ওই ব্যক্তিদের। এই নিয়ে ঝামেলা হতে পারে সেই আশঙ্কায় মা নির্মলাকে আমরুতা খুন করে। এমনটাই নাকি ভাইয়ের কাছে স্বীকার করেছে আমরুতা। জানা গেছে ভাইকেও খুনের পরিকল্পনা ছিল তরুণীর। কয়েকবছর আগেই আমরুতার বাবা মারা যান।
জানা গেছে, হায়দরবাদে চাকরি পেয়েছেন বলে পরিবারকে জানিয়েছিল আমরুতা। যদিও মা ও ভাইকে কীকারণে খুনের পরিকল্পনা করেছিল আমরুতা সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।