অপরাধ ঘটেছিল এক বছর আগে। ভাইরাল ভিডিওর সূত্র ধরে কর্নাটকের ইয়াদগিরে সোমবার ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছিল ভিডিওটি। এক মহিলাকে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র করে এবং বেধড়ক মারছে একদল পুরুষ। আর সেই ভিডিওর সূত্র ধরেই মিলল এক বছর আগের এক অজানা অপরাধের খোঁজ। যার সূত্র ধরে সোমবার কর্ণাটকের ইয়াদগির জেলার পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করল। যার মধ্যে একজন আবার পুলিশ বিভাগেরই কর্মী!
ঘটনাটি অবশ্য সাম্প্রতিক নয়। ইয়াদগিরের পুলিশ সুপার সিবি বেদামূর্তি জানিয়েছেন, এক বছর আগে ইয়াদগীর-শাহাপুর রাজ্য মহাসড়কে ঘটনাটি ঘটেছিল। তবে সেই সময় নির্যাতিতা মহিলা লোকলজ্জার ভয়ে পুলিশে কোনও অভিযোগ জানাননি। তাই পুলিশও এই ঘটনার বিষয়ে কিছু জানত না। সম্প্রতি ঘটনার একটি দুই মিনিটের ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছিল। এসপি আরও জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে তারা জানতে পেরেছেন, ওই মহিলাটি একটি বাসস্টপে অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময়ই ওই পুরুষদের দলটি তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল এক নির্জন স্থানে।
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছিল, এক মহিলাকে জোর করে বিবস্ত্র করছে চার-পাঁচজন পুরুষ। তারপর তাকে একটি ছবিও দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, ছবির মহিলাই তিনি কিনা। একবার পরিচয় নিশ্চিত হতেই তারা আখের ডাল দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করা শুরু করে। মহিলা বারবার তাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও মন গলেনি অভিযুক্তদের। বদলে তারা বলেছিল, ওই মহিলাকে খুন করে পুড়িয়ে দিলেও কেউ খুঁজে পাবে না।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ৪ জনেরই বয়স কুড়ির ঘরে। আয়ও সামান্য়ই। একজন পার্টটাইমে পুলিশের হোমগার্ড ও ড্রাইভার হিসবে কাজ করেছে। পুলিশের সন্দেহ, এই হামলার পিছনে তাদের প্রতিশোধ নেওয়া তাড়না কাজ করতে পারে। কারণ, ভিডিওতে হামলাকারীদের একজনকে বলতে শোনা গিয়েছে, যে সে ওই মহিলাকে কোনও থানায় ১৩,০০০ টাকা দিয়েছিলেন। তার পরিবর্তে সে ১৪,০০০ টাকা ফেরত চাইছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা জানিয়েছে, ওই মহিলা আগেও ওই পুরুষদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিল। পরে, দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করেছিল। তারা অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য মহিলাকে ১৩,০০০ টাকা দিয়েছিল।
চরম আসক্তি - অনলাইনে 'নগ্ন ছবি' পোস্ট করা শুরু করল কিশোরী, হার্ট অ্যাটাক বাবা-মা'এর, দেখুন
আরও পড়ুন - স্ত্রীর গোপনাঙ্গ সেলাই করে দিল হাতুড়ে ডাক্তার, ভারতে বাড়ছে সন্দেহবাতিক স্বামীর সংখ্যা
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ ওি মহিলাকে বিষয়টি জানায়। পরে তিনি পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যার ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারা এবং এসসি/এসটি আইনের আওতায় একটি মামলা দায়ের করেছে।