বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে জাল ওষুধ! সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট তাই দাবি করছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্যারাসিটামল সহ ৫০টিরও বেশি ওষুধ 'কোয়ালিটি টেস্ট' পাস করতে পারেনি।
সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্র্যান্ডারড কন্ট্রোল অরগানাইজেশন বা সিডিএসসিও তাঁদের রিপোর্টে ৫৩টি ওষুধকে কোয়ালিটি মার্কস দেয়নি। বরং তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এইসব ওষুধ নিয়ে। এদের মধ্যে গ্যাস, ক্যালসিয়াম, ভিটামিনের ওষুধ ছাড়াও আছে অ্যান্টি-ডায়বেটিস, ব্লাড প্রেসারের ওষুধ। কিছু কিছু ওষুধের তালিকাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আছে প্যান-ডি, প্যারাসিটামল ৫০০, টেলমিসারটন, ক্লাভাম ৬২৫।
বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে জাল ওষুধ! সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট তাই দাবি করছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্যারাসিটামল সহ ৫০টিরও বেশি ওষুধ 'কোয়ালিটি টেস্ট' পাস করতে পারেনি। এদের মধ্যে গ্যাসের ওষুধ যেমন রয়েছে, তার সঙ্গে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিনের ওষুধও। সম্প্রতি জানা গেছে, হরিদ্বারের এক পশু-ওষুধের ল্যাবরেটরিতে গায়ে মাখার সস্তা পাউডার আর স্টার্চের বিষাক্ত মিশ্রণ দিয়ে তৈরি হচ্ছিল 'অ্যান্টিবায়োটিক'! তারপর সেই 'ওষুধ' পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছিল উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক রাজ্যে। এইসব জায়গার সরকারি হাসপাতালে তা ব্যবহার করাও হচ্ছিল।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে মুম্বই থেকে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে আসত কোটি কোটি টাকা। সেই টাকা দিয়েই এই ওষুধ ব্যবহারের 'পারমিট' নিয়ে নিত অসাধু চক্রের সঙ্গে যুক্তরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একাধিকজন গ্রেফতারও হয়েছেন।
একাধিক ওষুধ কোম্পানি যেমন অ্যালকেম ল্যাবরেটরিস, হিন্দুস্তান অ্যান্টিবায়োটিক্স লিমিটেড, পিওর অ্যান্ড কিওর হেলথকেয়ার এই ওষুধগুলি তৈরি করে। তাদের তৈরি কোনও ওষুধই ড্রাগ টেস্টে পাস করতে পারেনি। যদিও এই বিষয় নিয়ে কোম্পানিগুলির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও দেওয়া হয়নি। কিন্তু এখানে প্রশ্ন উঠেছে, 'জাল' ওষুধ আদৌ কোম্পানির তরফে বানানো হয়ে থাকতে পারে কিনা। কেউ কেউ মনে করছেন, ভুয়ো সংস্থা খুলে অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল ওষুধ বানিয়ে তা এই সব নামী কোম্পানির নামে ছাড়তে পারে বাজারে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।