২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার গভীর রাতে একটি বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পিএফআইকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করে। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে ইসলামপন্থী সংগঠন এবং এর সহযোগীরা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। যার জেরে বিঘ্নিত হচ্ছে দেশের শৃঙ্খলা। তাই সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে অক্ষুন্ন রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এবার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের পথে পিএফআইয়ের ছাত্রশাখা ‘ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ (সিএফআই)। বুধবার কট্টরপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই) ও তার সহোযোগী সংগঠনগুলিকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিএফআই। শুধু তাই নয় কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে ‘অগণতান্ত্রিক' বলে দাবি করছে তাঁরা।
২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার গভীর রাতে একটি বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পিএফআইকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করে। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে ইসলামপন্থী সংগঠন এবং এর সহযোগীরা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। যার জেরে বিঘ্নিত হচ্ছে দেশের শৃঙ্খলা। তাই সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে অক্ষুন্ন রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এবার কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছে দেশের একাধিক সংগঠন। ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এই পদক্ষেপকে ভারতীয় রাজনৈতিক ‘স্বৈরাচারী পদক্ষেপ'-এর নজির বলে উল্লেখ করেছে। তেলঙ্গানার হায়দরাবাদের সাংসদ ওয়েইসি বলেছেন, "পিএফআই-এর মতাদর্শ সমর্থন করি না। কিন্তু এভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্তও সমর্থনযোগ্য নয়।" পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "এরপর সহজেই কোনও মুসলমান যুবকের কাছে পিএফআই-এর প্রচারপত্র পাওয়া গিয়েছে বলে ‘কালো আইন’ ইউএপিএর ধারায় গ্রেফতার করা হবে।"
আরও পড়ুন - 9/11 Anniversary : ভাই জোসেফ-কে আজও খোঁজেন চেরিয়ান, ৯/১১- মানে তাঁর কাছে প্রিয়জনকে হারানোর দিন
শুধু ওয়াইসি নয়, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয়েছে একাধিক নেতা ও সংগঠন। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ বললেন, "কেন এই পদক্ষেপ করা হল, সে বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সে বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ সামনে আনা উচিত।" কংগ্রেসের আরও এক নেতা জয়রাম রমেশ বলেন,"সমাজে মেরুকরণ এবং সামাজিক বিভাজন ঘটায়, এমন সব দল ও সংগঠনের বিরোধী কংগ্রেস।" সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন," কট্টরপন্থী সংগঠনগুলিকে রাজনৈতিক ভাবে একঘরে করা প্রয়োজন, নিষেধাজ্ঞা কোনও সমাধান নয়।"
আরও পড়ুন - NIA-র তল্লাশি অভিযান কলকাতার পার্ক সার্কাসে, দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ শেখ মোক্তারের বিরুদ্ধে
অন্যদিকে, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল কেরালা কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ (আইইউএমএল)। বুধবার গভীর রাতে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে পলুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-কে নিষিদ্ধকরণের সিদ্ধানন্তের কথা জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ (আইইউএমএল) বলেছে একই যুক্তিতে নিষিদ্ধ করা উচিত আরএসএসকেও। শুধু তাই নয় সিনিয়র আইইউএমএল নেতা এম কে মুনির কন্ঠে দুই সংগঠনের কার্যকলাপের তীব্র সমালোচনা সোনা গেল। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, "উগ্রবাদী এই দল কোরানের ভুল ব্যাখ্যা করে মানুষ্কে সহিংসতার পথ অবলম্বন করতে বাধ্য করছে। পিএফআই শুধু মাত্র তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তাই নয়, গোটা সমাজে বিভাজন ও ঘৃণার রাজনীতি তৈরির চেষ্টা করছে।"
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় চিনের মুখোশ খুললেন জয়শঙ্কর, কড়া বার্তা পাকিস্তানকেও