সংক্ষিপ্ত
জয়শঙ্কর বলেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘ অপরাধীদের নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদের জবাব দেয়। ঘোষিত সন্ত্রাসীদের রক্ষা করার জন্য সময়ে সময়ে UNSC 1267 নিষেধাজ্ঞা শাসন নিয়ে রাজনীতি করে কিছু তাদের নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করে। তারা নিজেদের স্বার্থকে অগ্রসর করতে পারে না, দেশের মর্যাদাকেও এগিয়ে নিতে পারে না।
পাকিস্তানের নাম না নিয়ে শুক্রবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কড়া বার্তা দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। একই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযানে চিনের ষড়যন্ত্রকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন তিনি। উল্লেখ্য, চিন প্রায়শই তার বিশেষাধিকার ব্যবহার করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কালো তালিকায় সন্ত্রাসীদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ভারতের প্রচেষ্টায় বাধা দেয়। এই প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, "যে কোনো দেশ যারা ঘোষিত সন্ত্রাসীদের রক্ষা করার জন্য UNSC 1267 নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থাকে রাজনীতিকরণ করে তারা বিশ্বের নিরাপত্তা সম্পর্কে ঝুঁকি ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে।"
তার ভাষণে, জয়শঙ্কর বলেন, "রাষ্ট্রসঙ্ঘ অপরাধীদের নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদের জবাব দেয়। ঘোষিত সন্ত্রাসীদের রক্ষা করার জন্য সময়ে সময়ে UNSC 1267 নিষেধাজ্ঞা শাসন নিয়ে রাজনীতি করে কিছু তাদের নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করে। তারা নিজেদের স্বার্থকে অগ্রসর করতে পারে না, দেশের মর্যাদাকেও এগিয়ে নিতে পারে না। আমাদের দৃষ্টিতে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করা যায় না। যে কোনো মন্তব্য, তা যে কোনো উদ্দেশ্য নিয়েই করা হোক না কেন, কখনোই রক্তের দাগ ঢেকে রাখতে পারে না।"
জয়শঙ্কর বলেন, "দশকের দশক ধরে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের শিকার হওয়ার পরে, ভারত 'জিরো টলারেন্স' নীতির পক্ষে।" জয়শঙ্করের এদিনের বক্তব্য সাম্প্রতিককালে চিন ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বাধিক কড়া আক্রমণ বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, চলতি মাসেই চিন লস্কর-ই-তইবার জঙ্গি সাজিদ মীরকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী ঘোষণা করার আহ্বানে বাধা দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানা যায় যে ভারত এই আহ্বানে সমর্থন করেছিল। তবে আপাতত প্রস্তাব চিনের বাধায় হিমঘরে। উল্লেখ্য, মীর ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মামলায় ওয়ান্টেড।
এদিন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শান্তির জন্য এবং কূটনীতির মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার প্রয়োজনীয়তার আহ্বান জানিয়েছেন। জয়শঙ্কর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যু নিয়ে কথা বলেছিলেন এবং বলেছিলেন যে ভারত শান্তির পক্ষে বরাবর দৃঢ়ভাবে নিজের অবস্থান রাখবে। ৭৭তম রাষ্ট্রসঙ্ঘ সাধারণ অধিবেশনে বক্তৃতার সময় জয়শঙ্কর বলেছিলেন, “আমাদের প্রায়ই জিজ্ঞাসা করা হয় আমরা কার পক্ষে আছি। এবং আমাদের উত্তর, প্রতিবার, সোজা এবং সৎ। ভারত শান্তির পক্ষে আছে এবং দৃঢ়ভাবে থাকবে।”
জয়শঙ্কর জোর গলায় বলেন "আমরা সেই পাশে আছি যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদ এবং এর প্রতিষ্ঠাতা নীতিগুলিকে সম্মান করে।" অর্থনীতিতে যুদ্ধের প্রভাবের উপর জোর দিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, "চলমান ইউক্রেন সংঘাতের প্রভাব অর্থনৈতিক চাপকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, বিশেষ করে খাদ্য ও শক্তির ওপর।"
ভুলেও চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না, জানুন পরমাণু বিস্ফোরণ নিয়ে কেন এমন মার্কিন সতর্কতা
'সবুজ উন্নয়ন আর সবুজের চাকরি বাড়ানোই লক্ষ্য', পরিবেশমন্ত্রীদের বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী