দেশে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি সামলাতে ভারত জুড়ে লকডাউন। এর মাঝেই দেশবাসীকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। আর এই কাজ করতে গিয়ে বারবার উন্মত্ত জনতার হাতে হেনস্থা হতে হচ্ছে তাঁদের। একই অবস্থা দেশের করোনা যুদ্ধের আরেক সৈনিক পুলিশ বাহিনীরও। মানুষকে লকডাউনের নিয়ম বোঝাতে গিয়ে নিগৃহের শিকার হচ্ছেন তাঁরাও। গত সপ্তাহেই লকডাউন ভাঙায় বাধা দেওয়ায় পঞ্জাবের এক পুলিশ আধিকারিকের হাত কেটেছিল দুষ্কৃতীরা। আর এবার উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট ছুঁড়তে শুরু করল উন্মত্ত জনতা।
আক্রান্ত্রের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে, দেশবাসীর খোঁজ নিতে এবার সরাসরি ফোন করবে কেন্দ্র
ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল ব্রিটেন, শুরু হচ্ছে মানবদেহে প্রয়োগ
আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৮ লক্ষ, গ্রিনকার্ড দেওয়া বন্ধ করলেন ট্রাম্প
গোটা দেশের মত উত্তরপ্রদেশের আলিগড়েও চলছে লকডাউন। তার মাঝেই অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হওয়ায় বসেছিল সব্জির বাজার। সেখানেই সামাজিক দূরত্বের নিয়ম শিকেয় তুলে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন সব্জি বিক্রেতারা। লকডাউনের নিয়ম লঙ্ঘন করায় পুলিশ সেদিকে তেড়ে যেতেই উন্মত্ত জনতা তাঁদেরি দিকে ইঁট ছুঁড়তে শুরু করে। সঙ্গে চলে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ। সোশ্য়াল মিডিয়ায় এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই নিমেশে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে প্রায়শই জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। সম্প্রতি রামপুরে জীবাণুনাশক ছড়ানোর সময় এর স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। মারধরের পর জোর করে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর মুখে জীবাণুনাশক ঢেলে তাঁকে খুন করা হয়। গত ১৫ এপ্রিল মোরাদাবেদর নবাবপুরা এলাকায় করোনাআক্রান্ত এক ব্যক্তির পরিবারকে আইসোলেশনে পাঠানোর সময় হামলার শিকার হয়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ভাঙচুর চালান হয় অ্যাম্বুলেন্সে। এই ঘটনায় আহত হন ৪ স্বাস্থ্যকর্মী, যাঁদের মধ্যে এক চিকিৎসকও রয়েছেন। হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৫ জনের করোনা পরীক্ষার রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৬৩ হয়ে গিয়েছে। বুধবার সকালে মোরাদাবাদে ৩ বছরের এক শিশু সহ ২১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে মোরাদাবাদে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ৯৪ তে। এদিকে মঙ্গলবার মোরাদাবাদ জেলের ৬ আসামীর শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তার পরেই তাদের সংস্পর্শে আসা ৭৩ জন পুলিশকর্মী ও ১১ জন জেলকর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠান হয়েছে। এদিকে আলিগড় মেডিক্যাল কলেজে এক করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসায় কোয়ারেন্টাইনে পাঠান হয়েছে ল ৪৬ জন চিকিৎসাকর্মীকে। তবে এরমধ্যেই ভাল খবর, যোগী রাজ্যে ইতিমধ্যে ১০ জেলাকে করোনা ফ্রি হিসাবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।