মাধবন বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, যখন তিনি তার কাজ শুরু করেছিলেন, তখন তিনি মাইক্রোইকোনমি এবং ডিজিটাল মুদ্রার প্রবর্তন করেছিলেন। এই সময় বিশ্ব জুড়ে একটি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল।
অভিনেতা আর মাধবন বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেছেন। মাধবন কান ফিল্ম ফেস্টিভালে তার পরিচালনায় ডেবিউ ফিল্ম 'রকেট্রি: দ্য নাম্বি ইফেক্ট' সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মোদীর প্রশংসা করেন। এদিন মাধবন বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিজিটাল ইকনমি সম্পর্কে ধারণা দেশের অর্থনীতির নকশা বদলে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও এই বছরের কান ফিল্ম ফেস্টিভালে যোগ দিয়েছেন, তিনি মাধবনের ভিডিও শেয়ার করেন। এই ভিডিওতে মাধবন বলেছেন যে কীভাবে ডিজিটাল অর্থনীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দৃষ্টিভঙ্গিকে বিপর্যয় আসার ইঙ্গিত বলে মনে করেছিলেন দেশের অর্থনীতিবিদদের একাংশ। কিন্তু তা হয়নি। কৃষকদের ফোন ব্যবহার করার জন্য শিক্ষিত হওয়ার দরকার নেই, অভিনেতা বলেছিলেন।
মাধবন বলেন "ভারতের প্রধানমন্ত্রী, যখন তিনি তার কাজ শুরু করেছিলেন, তখন তিনি মাইক্রোইকোনমি এবং ডিজিটাল মুদ্রার প্রবর্তন করেছিলেন। এই সময় বিশ্ব জুড়ে একটি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল, অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বড়সড় ধাক্কা আসতে চলেছে। এর প্রেক্ষিতে তারা যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে কীভাবে কৃষক এবং ছোট গ্রামে অশিক্ষিত লোকদের একটি ছোট ফোন বা একটি স্মার্টফোন পরিচালনা করতে এবং অ্যাকাউন্টিং পরিচালনা করবেন,"।
তিনি এদিন বলেন মাইক্রো অর্থনীতিকে ভারতে একটি বড় বিপর্যয় বলে মনে করা হয়েছিল। মাধবন এদিন বলেন "কয়েক বছরের মধ্যে সেই পুরো ছবি পাল্টে যায় এবং ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাইক্রোইকোনমি ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি দেশ হয়ে ওঠে। এবং সবাই জানে কেন এটি ঘটেছে। কারণ কৃষকদের ফোন আছে কিনা তা জানার জন্য তাদের শিক্ষিত হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। তাদের টাকা, তারা কাকে টাকা পাঠিয়েছে... এটাই নতুন ভারত," অভিনেতা যোগ করেছেন।
তার সিনেমা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মাধবন বলেছেন, "আর্যভট্ট থেকে সুন্দর পিচাই পর্যন্ত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমাদের কাছে এমন অসাধারণ গল্প রয়েছে। আমরা সেগুলি নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছি না, তারা সারা বিশ্বের তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা। অভিনেতাদের চেয়েও এদের ভক্তের সংখ্যা অনেক বেশি।"
এর আগে, কান ফিল্ম ফেস্টিভালে বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন বলেছিলেন যে ভারত মহানতার শীর্ষে রয়েছে। এমন একটি দিন আসবে যখন আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে ভারতকে কানে থাকতে হবে না, কিন্তু কান ভারতে থাকবে বলে দাবি করেছিলেন দীপিকা।