আফগান মহিলাদের চরম সংকটের দিন আরও এগিয়ে আসছে। তালিবান নেতার মন্তব্য সেই আশঙ্কাই দানা বাঁধছে।
তিন সপ্তাহ আগে কাবুল দখলের পর আফগান মহিলাদের শিক্ষা আর কাজের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে না বলে জানিয়েছিল তালিবানরা। কিন্তু সরকার গঠনের পর সম্পূর্ণ উল্টোকথা বলছে তালিবানরা। তালিবানের এক মুখপাত্র স্পষ্ট করে ঘোষণা করেছেন মহিলাদের সন্তানের জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখা উচিৎ।
কট্টরপন্থী, পুরুষ সর্বস্ব তালিবান সরকার গঠন করেছে তালিবানরা। যা নিয়ে রীতিমত উষ্মা প্রকাশ করেছে আফগান মহিলারা। কাজ আর শিক্ষার দাবিতে আফগান মহিলারা কাবুলের রাস্তায় প্রতিবাদে নেমেছে। তাদেরই উদ্দেশ্য করে তালিবান মুখপাত্র রীতিমত তালিবানি সুরেই মন্তব্য করেছেন।
আফগান মহিলাদের বিক্ষোভ আর সরকারের প্রতি ক্ষোভ নিয়ে মন্তব্য করেন তালিবান মুখপাত্র জেকরুল্লাহ হাশিমি। টোলো নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন একজন মহিলা কখনই মন্ত্রী হতে পারেন না। মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব মহিলারা বহন করতে পারেন না। মহিলাদের মন্ত্রিসভায় থাকাটারও আবশ্যক নয়। তারপরই তিনি বলেন মহিলাদের উচিৎ শুধুমাত্র সন্তানের জন্মদেওয়ার মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখা। হাসিমি আরও বলেন নারী আন্দোলনের প্রতি সকল আফগান মহিলার সমর্থন নেই।
BRICS: সন্ত্রাস দমনে কড়া পদক্ষেপের কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, উঠল আফগানিস্তান প্রসঙ্গ
করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার বিল দেখলে চোখ কপালে উঠবে আপনারও, শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা
এ কী চেহারা হয়েছে, ছিপছিপে, রোগা কিম জং উনকে দেখে অবাক উত্তর কোরিয়া
মধ্য আগাস্টের তালিবানরা কাবুল দখল করার পর থেকেই অধিকার হারানো নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল আফগানদের মধ্যে যা সবথেকে বেশি আঘাত করেছিল মহিলাদের। কারণ ১৯৯০ -২০০১ সাল পর্যন্ত তালিবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ছিল। সেই সয়ম তারা মহিলাদের ওপর তীব্র জুলুম করেছিল। মহিলারা আশঙ্কা করেছিল সেই দিন আবারও ফিরে আসবে। ক্ষমতা দখলের পর তালিবানরা মুখে নারী স্বাধীনতার কথা বললেও আদতে যে তারা অন্য পথে হাঁটছে তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তালিবান মন্ত্রিসভা থেকেই।