
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা উত্তর বাধারঘাট অঞ্চলে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে নিজেরাই সাজার ব্যবস্থা করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এক গৃহবধূ ও এক ব্যক্তিকে জোর করে স্থানীয় কালীমন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে তাঁদের বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া যে বেআইনি, সেটা অনেকেই বলছেন। কিন্তু বেশিরভাগ গ্রামবাসীই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে ক্ষুব্ধ। এই কারণে তাঁরা এই ঘটনাকে সমর্থন করছেন। গ্রামবাসীদের দাবি, এই গৃহবধূ ও তাঁর প্রেমিক যে আচরণ করছেন, সমাজে তার খারাপ প্রভাব পড়ছে। এই কারণেই তাঁরা জোর করে বিয়ে দিয়েছেন।
কী হয়েছিল শনিবার?
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগরতলা উত্তর বাধারঘাটের জগন্নাথ পাড়ায় অজয় দাস নামে এক ব্যক্তির বাড়ি। তাঁর স্ত্রী কিছুদিন আগে প্রয়াত হয়েছেন। এরপর স্থানীয় এক গৃহবধূর সঙ্গে অজয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শনিবার দুপুরে অজয়ের বাড়িতে যান ওই মহিলা। তিনি মাংস রান্না করেন। এরপর তাঁরা মদ্যপান করেন। তাঁরা যৌন সম্পর্কেও লিপ্ত হন। গ্রামবাসীরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিলেন। তাঁরা অজয়ের বাড়িতে চড়াও হন। অজয় ও ওই মহিলা তখন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। ওই মহিলা গ্রামবাসীদের গালিলাগাজ করেন বলে অভিযোগ। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। তাঁরা অজয় ও ওই মহিলাকে স্থানীয় কালীমন্দিরে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেন। মালাবদল, সিঁদুর পরানো-সহ যাবতীয় আচার পালন করা হয়।
জোর করে এভাবে বিয়ে দেওয়া যায়?
অনেকে বলছেন, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে কারও আপত্তি থাকতেই পারে, কিন্তু কারও বাড়িতে জোর করে প্রবেশ বেআইনি। কারও বাড়িতে কে যাচ্ছেন, গিয়ে কী করছেন সে ব্যাপারে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
স্বামীকে ছেড়ে বেঙ্গালুরুতে পরকীয়া, লিভ-ইন পার্টনারের সঙ্গে গায়ে আগুন দিলেন কলকাতার তরুণী
বাংলায় ফের অ্যাসিড হামলার শিকার এক গৃহবধূ, পরকীয়া সম্পর্কের সন্দেহে হিংস্র আক্রমণ স্বামীর
কাজ থেকে ফিরেই মোবাইলে ব্যস্ত স্ত্রী, 'পরকীয়া' সন্দেহে শ্বাসরোধ করে খুন ব্যক্তির