সংক্ষিপ্ত

ডোড্ড‌াগুব্বি এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের ৫ তলায় একসঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন সৌমিনী ও অভিল। কিন্তু, সৌমিনী আসলে বিবাহিতা এবং তাঁর স্বামী বাংলায় থাকেন।

পশ্চিমবঙ্গে বিয়ের পর কর্ণাটকে গিয়েছিলেন নার্সিং পড়তে, সেখানে গিয়েই বৈবাহিক জীবন থেকে ভিন্ন পথ ধরতে চাইলেন বঙ্গের তরুণী। তারপরেই পরিণতি হল মর্মান্তিক। নিজের লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গেই গায়ে আগুন দিলেন কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরুতে যাওয়া দ্বিতীয় বর্ষের নার্স। রবিবারের এই ঘটনাকে ঘিরে ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কোথানুর থানার পুলিশ।

-

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ২০ বছরের তরুণী সৌমিনী দাসের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়। ২৯ বছর বয়সি অভিল আব্রাহাম কেরলের বাসিন্দা। বেঙ্গালুরুর মারাঠাহাল্লিতে একটি বেসরকারি কলেজে নার্সিং পড়ছিলেন সৌমিনী। এই শহরেই একটি নার্সিং পরিষেবা এজেন্সি চালাতেন অভিল। ৩ মাস আগে দু'জনের সাক্ষাৎ হয়েছিল বলে জানা গেছে। তারপরেই তাঁরা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ভালোবাসার সম্পর্ক গড়িয়ে যায় লিভ ইন পর্যন্ত, ডোড্ড‌াগুব্বি এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের ৫ তলায় একসঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন দু'জনে। কিন্তু, সৌমিনী আসলে বিবাহিতা এবং তাঁর স্বামী বাংলায় থাকেন।



তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে  যে, ২০২১ সালে সৌমিনীর বিয়ে হয়েছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে নিজের স্বামীর থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে নিয়েছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই কলকাতায় নিজের বাড়িতে এসে অভিলের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা জানিয়েছিলেন এই তরুণী। দাম্পত্যের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে নতুন করে আবার একটা দাম্পত্য শুরু করার প্রসঙ্গেই পরিবারের মানুষদের সঙ্গে তাঁর তীব্র অশান্তি হয় বলে অনুমান। 

-
রবিবার বেলা পৌনে ১টা নাগাদ বেঙ্গালুরুর ফ্ল্য়াট থেকে সৌমিনী ও অভিলের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। দরজা ভেঙে ঢুকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলেই মারা যান সৌমিনী। অভিলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সোমবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেছে কোথানুর থানা। ঘরের চারিদিকে পেট্রোলের বোতল ছড়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে, তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। মৃতদের মোবাইল ফোনের ডেটা খতিয়ে দেখে মৃত্যুর কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।

-
 আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।