
মানুষ না অমানুষ এরা! তেমনই প্রশ্ন উঠল ওড়িশার আধিবাসী তরুণীর ওপর যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছে তাই নিয়ে। শুধু অমানবিক বললে কিছুটা ভুলই হবে। অমানসিক অত্যাচার বললেও ভুল হবে। শারীরিক হেনস্থার পাশাপাশি জাত তুলে অশালীন মন্তব্য করা হয়েছে। পাশাপাশি মানুষের মলও নির্যাতিতাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতা তরুণী।
পুলিশ জানিয়েছে, ১৬ নভেম্বর ওড়িশার আদিবাসী গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। গ্রামের একটি পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন ২০ বছরের তরুণী। তখন তরুণীর পথ আটকে দাঁড়িয়েছিল গ্রামেরই উচ্চবর্ণের প্রতিনিধি অভয় বাঘ নামের এক ব্যক্তি। তরুণীকে সেই সময় জাত তুলে অশালীন কথা বলা হয়েছিল। সেই সময় তরুণী প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসবে বলেও জানিয়েছিল। সেই সময় অভয় তরুণীর বুকে আঘাত করে। তরুণী মাটিতে পড়ে যায়। সেই সময় তরুণীর শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে অভিযুক্ত।
সেই সময়ই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় তরুণীর মা। দুই পক্ষের বচসা শুরু হয়ে যায়। সেই সময় অভয় আবারও তরুণীকে মারধর করে। তরুণীর মুখে মানুষের মল মাখিয়ে দেয়। জোর করে তরুণীকে মল খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। তরুণী পুলিশকে জানিয়েছে উঁচু জাতের ব্যক্তিরা তার ওপর অত্যাচার করেছিল।
তরুণীর অভিযোগ উঁচু জাতের এক ব্যক্তি তার চাষের জমিতে ট্র্যাক্টর চালাতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা বাধা দিয়েছিল। যদিও তার আগেই তাদের প্রচুর শস্য নষ্ট হয়ে যায়। তরুণীরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিল। তার বদলা নিতে তরুণীকে হেনস্থা করা হচ্ছিল। পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও অভয় এই ঘটনার পরই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। অভয়কে গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হয়েছে। একাধিক ধারায় মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।