ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটিদে দেখা যাচ্ছে- বছর ৬৫টির এক ব্যক্তিকে এক ব্যক্তি ক্রমাগত মাথা আর কানের গোড়ায় থাপ্পড় মারছে। বৃদ্ধকে বারাবর তার নাম জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। তার মহম্মদ কিনা তাও জিজ্ঞাসা করা হয়েছে।
অসুস্থ এক বৃদ্ধকে কিনা মারতে মারতে মেরেই ফেলল- এমনই নৃশংসা ঘটনার একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। কিন্তু এই ঘটনার পটভূমিও অত্যান্ত নির্মম। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরই নিহত ব্যক্তি পরিবারের সদস্যদের গোটা ঘটনার তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে। প্রথমিক তদন্তে সামনে এসেছে যে ব্যক্তি মানসিক অসুস্থ ব্যক্তিকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে সেই ব্যক্তি মধ্য প্রদেশের বিজেপির এক কর্মকর্তা। নাম দীনেশ কুশওয়াহা।
যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটিদে দেখা যাচ্ছে- বছর ৬৫টির এক ব্যক্তিকে এক ব্যক্তি ক্রমাগত মাথা আর কানের গোড়ায় থাপ্পড় মারছে। বৃদ্ধকে বারাবর তার নাম জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। তার মহম্মদ কিনা তাও জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। কিন্তু বৃদ্ধ কিছুই বলতে পারেনি। তবে বৃদ্ধ যে অসুস্থ তা ভিডিওটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বৃদ্ধ হামলাকারীর হাত থেকে রেহাই পেতে টাকাও দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেই ছাড়া পায়নি। আক্রান্ত ব্য়ক্তির আধার কার্ডও দেখতে চাওয়া হয়েছে।
তবে পুলিশ জানিয়েছেন, এই ব্যক্তিকে রাস্তার ধারে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। বৃদ্ধের নাম ভানওয়ারলাল জৈন। রতলাম জেলার বাসিন্দা। মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজস্থানের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজের ডায়েরি লেখায়। শুক্রবার ভানওয়ারলালের নিহর দেহ উদ্ধার হয়ে রাস্তার ধার থেকে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেহ তুলে দেওয়া হয়।
এখানেই ঘটনার ইতি নয়। পরিবারের সদস্যরা তারপরই দেখতে পান ভাইরাল ভিডিওটি। সঙ্গে সঙ্গে তারা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। তখনই জানা যায় যে ব্যক্তি মানসিক অসুস্থ ব্যক্তিকে মারধর করছে সে বিজেপির এক স্থানীয় কর্মকর্তা। যদিও জনৈ পরিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছে। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে ভিডিওটি সম্ভবত বৃহস্পতিবার শ্যুট করা হয়েছে।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রদেশে বিজেপি আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। রাজ্যের মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত হবে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। কংগ্রেস বলছেন রাজ্যে ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করেছে বিজেপি। কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেছেন মামলা করা হয়েছে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। পদক্ষেপ করা হবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। রাজ্য বিজেপির সম্পাদক রজনীশ আগ্ররওয়াল বলেন ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। অভিযুক্তের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।