দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যু বার্ষিকীতে টুইট করে ট্রোলড প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী। তারপর চুপচাপ মুহূর্তেই মুছে গেল ওই পোস্ট প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে।
ফের টুইট করে বিতর্কে অধীর। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যু বার্ষিকীতে টুইট করে ট্রোলড প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যু বার্ষিকীতে এদিন প্রথমে অধীর চৌধুরি কোড-আনকোড করে লেখেন, 'যখন বড় কোনও গাছ পড়ে যায়, তখন মাটি কেঁপে ওঠে।' এই লাইন ঠিক রাজীব গান্ধীর ছবির নিচে লিখে এদিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু বার্ষিকীতে পোস্ট করেন। ব্যাস , নেটিজেন চোখ এড়ানো কি অত সহজ। একেই ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কুপোকাৎ কংগ্রেস। তুমুল কোন্দল দলের ভিতরে। আর এহেন মুহূর্তেই টুইট বোমা পড়তেই সোশ্যাল দুনিয়ায় ট্রোলড হলেন অধীর চৌধুরী। তারপর চুপচাপ মুহূর্তেই মুছে গেল ওই পোস্ট প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে। এখন ডুয়েল মিনিং নয়, বরং দুধের মতো সাদা, ভক্তির বন্যায় ভিজল অধীরের নয়া টুইট। তবে আগের টুইট ডিলিট করে দিলেও, যে বা যারা ছবি তুলে রেখেছেন, বলাইবাহুল্য বেলা বাড়তেই আরও বিতর্ক মোড় নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যু বার্ষিকীতে সংবাদ সংস্থা এএনআই অধীরের ওই বিতর্কিত টুইট পোস্ট করেছে। যেখানে, অধীর চৌধুরি কোড-আনকোড করে লিখেছেন, 'যখন বড় কোনও গাছ পড়ে যায়, তখন মাটি কেঁপে ওঠে।' কিন্তু পরে তা মুছে দিয়ে একই ছবি এবং হলুদ হাইলইটসের উপর রাজীব গান্ধীর কোড-আনকোডে লিখেছেন, 'উন্নয়ন মানে কারখানা, বাধ তৈরি বা রাস্তা তৈরি নয়, উন্নয়ন মানুষের সম্পর্কে। লক্ষ্য হল মানুষের বস্তুগত, আধ্যাত্মিক এবং পরিপূর্ণতা। তবে মানুষের বিষয়টি উন্নয়নের সর্বোচ্চ মূলের উপরে রয়েছে।' এখন কথা হচ্ছে, যত মিস্রিই পড়ুক, আগের টুইট রীতিমতই বিতর্ক ছড়িয়েছে। বলাইবাহুল্য , দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝে এমনতিতেই কোনঠাসা কংগ্রেস। তার উপর যেন এবার পড়ল নুনের ছিঁটে।
আরও পড়ুন, দল ছাড়লেন হার্দিক প্যাটেল, গুজরাটে বড় ধাক্কার মুখোমুখি কংগ্রেস
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ২১ মে, ভারতের তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় মৃত্যু হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছিল তাঁর দেহ। আশপাশের বহু মানুষ হতাহত হয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম বা এলটিটিই-এর সদস্য থেনমোঝি রাজারত্নম ছিল প্রধান ষড়যন্ত্রকারী। তার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল, কাউন্সিল অফ খালিস্তান গোষ্ঠীর ডক্টর জগজিৎ সিং চৌহান এবং খালিস্তান লিবারেশন ফোর্সের গুরজন্ত সিং বুধসিংহওয়ালা। তার আগে, শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধে ভারতীয় শান্তি রক্ষা বাহিনী পাঠিয়ে সেই দেশের সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। তারই বদলা নিতে এই হামলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন, 'গ্যাস সমুদ্র-যেনও দামের ঢেউ, মানুষের পকেট লুট করছে কেন্দ্রীয় সরকার', বিস্ফোরক মমতা