
হিন্দু মহিলাকে অপহরণের অভিযোগ তুলে চরম সাজা দিল ডানপন্থী সংগঠনের সদস্যরা। তারা পরপর দুটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। যদিও এই ঘটনার পরই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এক হিন্দু মহিলাকে বলতে শোনা গেছে তিনি স্বেচ্ছায় মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে এসেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে উত্তর প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর আগ্রা। পুলিশ ও জনতার সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। সেই ঘটনায় পুলিশ আট জনকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনার সূত্রপাত চলতি সপ্তাহের সোমবার। একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সোমবার থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। দুদিন টাকা খোঁজ চালিয়ে পুলিশ ছাত্রীকে উদ্ধার করে। সূত্রের খবর সাজিদ নামে এক তরুণের সঙ্গেই ঘর ছেড়েছিল এই তরুণী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সাজিদের হদিশ পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে এই ঘটনার পরই সাজিদের পরিবার তাঁর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করে।
তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু তরুণী স্পষ্ট করে জানিয়েছে সে স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন তিনি প্রাপ্ত বয়স্ক। তাই স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়ে আইনত কোনও অপরাধ করেননি তিনি। যদিও পুলিশ ৩৬৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে। যার অর্থ সাজিদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা বা বিবাহের জন্য প্রলুব্ধ করার অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে মহিলা তাদের হেফাজতে রয়েছে। তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। কিন্তু আদালত বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। এই ঘটনায় যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এদিন ডানপন্থী সংগঠনের সদস্যরা দুটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। ধর্ম জাগরণ সমন্বয় সংঘ নামে একটি সংগঠন বিক্ষোভ দেখায়। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। তাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৮ জনকে। এই ঘটনার কর্তব্যে গাফিলতের জন্য এক পুলিশ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে গোটা এলাকা এখনও পর্যন্ত উত্তপ্ত রয়েছে। সতর্ক রয়েছে প্রশাসন।