চিনের অনড় মনোভাবের কারণে এখনও পর্যন্ত পূর্ব লাদাখ সীমান্ত উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতি ভারতীয় ভূখণ্ড রক্ষায় মরিয়া ভারতীয় সেনা বাহিনীর। প্রতিকূল আবহাওয়া আর লাল ফৌজের সঙ্গে লড়াই করে দেশ রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত জওয়ানদের পাশে দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় শাসিত লাদাখের স্থানীয় বাসিন্দারা। আর যা নিয়ে ইতিমত সরগরম নেটদুনিয়া।
কোঞ্চোক স্টানজিন, লাদাখ স্বায়ত্ব শাসিত পার্বত্য উন্নয়ন কাউন্সিলের আধিকারিক। তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক আর ট্যুইটার) থেকে তিনটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। আর সেখানে কাউন্সিলের স্বেচ্ছাসেবীদের ইউনিফর্ম ছাড়াই সৈনিক বলে অভিহিত করেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, চুসুল আর মেরাক গ্রামের ইউনিফর্ম বিহীন সৈনিকরা ভারতীয় সেনা বাহিনীর জওয়ানদের খাবার জল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করছে। আর এই ভাবেই তাঁরা দেশের মানুষেরও সেবা করছে।
চুসুল আর মেরাক গ্রামের মহিলাসহ ৬০ জন স্থানীয় মানুষ ব্ল্যাক টপের মত খাড়াই পাহাড়ে আরোহন করে ভারতীয় সেনাদের কাছে খাবার ও জল পৌঁছে দিচ্ছে। এই ব্ল্যাক টপ যা স্থানীয়দের কাছে কালা পাহাড় নামে পরিচিত। চিনা সেনার আগ্রাসন প্রতিহত করতে এই পাহাড়ে অবস্থান করে রয়েছে ভারতীয় সেনা। আর সেই খাড়াই পাহাড়ে জলের জ্যারিকেন নিয়ে চড়ছেন মহিলারা।
আগে যুদ্ধের সময় সেনা বাহিনীর স্থানীয় বাসিন্দাদের পোর্টার হিসেবে নিয়োগ করতে। আর সেই কারণে তাঁদের বেতন বা দৈনিক মজুরি দেওয়া হত। কিন্তু বর্তমানে চিন-ভারত সীমান্তে উত্তেজনার কারণে ভারতীয় সেনাদের পাশে দাঁড়াতে স্বেচ্ছাসেবীর ভূমিকাই গ্রহণ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্যাংগং-এর দক্ষিণ তীরে চুসুল সেক্টরে ই চুসুল গ্রাম। আর এই গ্রামের সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে স্পেনগুর লেক, ব্ল্যাক টপ আর হেলমেট পাহাড়। চুসুল গ্রামে ১৭০টি পরিবারে বাস। তবে অন্য একটি পোস্টে রেজিং নামের এক ব্যক্তি আক্ষেপ করে বলেছেন চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মি তাঁর পৈত্রিক এলাকা থেকে তাঁকে ৫০ ধাপ পিছিয়ে দিয়েছে। প্রকারন্তে চিন যে ভারতের ভূখণ্ড দখল করেছে তার অভিযোগও তুলেছে।