শীতের লাদাখ আর প্যাংগং-এ কেমন কাটবে ভারতীয় জওয়ানদের দিনরাত, চিনের পাশাপাশি লড়াই করতে হবে প্রকৃতির বিরুদ্ধেও

Published : Sep 06, 2020, 12:59 PM IST
শীতের লাদাখ আর প্যাংগং-এ কেমন কাটবে ভারতীয় জওয়ানদের দিনরাত, চিনের পাশাপাশি লড়াই করতে হবে প্রকৃতির বিরুদ্ধেও

সংক্ষিপ্ত

শীতকালেও চিনের ওপর কড়া নজরদারি চালাবে ভারত প্যাংগং থেকে হটস্প্রিং মোতায়েন থাকবে ভারতীয় সেনা  প্রবল শীতে লড়াই করতে হবে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে  প্যাংগং টহল খুবই কষ্টসাধ্য 

আপাতত পূর্ব লাদাখ সীমান্ত সমস্যা সমাধানের কোনও সম্ভাবনা নেই। মস্কোতে ভারত চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু সেই বৈঠকেও নিজের মনোভাবে অনড় থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে বেংজি। তাই আসন্ন শীতকালেই লাদাখ সীমান্তের বিস্তীর্ণ এলাকায় সেনা মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। কিন্তু অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকেই পূর্ব লাদাখ সীমান্তের আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে। আর সেম্পেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই প্যাংগং, হটস্প্রিংসহ বেশ কয়েকটি এলাকা প্রায় ২০ ফুটের বেশি বরফে ঢেকে যায়। এই অবস্থায় কেমন হবে প্রবল ঠান্ডায় তুষারাবৃত লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন ভারতীয় জওয়ানদের দিনগুলি? তারই একটি ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রাক্তন কর্নেল সন্দীপ কুমার। যিনি ৩৭ বছর ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন।  ২০১১ সালে অবসর গ্রহণের আগে এক বছর তাঁর শেষ পোস্টিং ছিল লাদাখে। 


প্রাক্তন কর্নেল সন্দীপ কুমারের কথায়, লাদাখে ১৬,০০০ ফুট উচ্চতায় প্রতিপক্ষের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাদের অনেকগুণ বেশি শারীরিক দক্ষতা প্রয়োজন। কারণ অতিউচ্চতায় সেনা বাহিনীকে শক্রুপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর পাশাপাশি প্রকৃতির সঙ্গেই লড়াই করতে হবে। কারণ এলাকায় অক্সিজেন অনেকটাই কম। হিল সিকনেশের পাশাপাশি মস্তিষ্কে জল জমে যাওয়ার সম্ভাবনাও তাকে।  শীতকালে একজন সৈন্য যদি অসুস্থ হয়েও পড়েন তাহলে তাকে ১০ হাজার ফুট নিচে লে-র সেনা হাসপাতালে নিয়ে আসাও কিছুটা সমস্যার। কারণ প্রবল ঠান্ডায় তুষারপাতের কারণে দৃশ্যমানতা কম থাকায়  হেলিকপ্টারের  চালানো রীতিমত কঠিন। 

প্যাংগং লেক সংলগ্ন এলাকায় লড়াই করাও কিছুটা হলেও কষ্টসাধ্য। কারণ এলাকাটি একদম ফাঁকা। কোনও গাছ বা ঝোপঝাড় নেই। তারওপর সেম্পেম্বর থেকেই এই হ্রদের জল বরফ হয়ে যায়। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একই অবস্থা থাকে। শীতকালে বেলা বারোটা নাগাদ এখনও তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ৫ ডিগ্রির নিচে। আর সন্ধ্যার দিকে মাইনাস ২৫।  রাত ৮টার পর থেকে তাপমাত্রার পারদ আরও নামতে থাকে। কখনও কখন পারদ নেমে যায় মাইনাস ৪০ ডিগ্রির নিচে। এখানের সবথেকে বড় সমস্যা হল উইন্ড চিল্ড বাতাস। ঠান্ডা ঝোড়ো হাওয়ায় কখনও কখনও পায়ে হাঁটাও রীতিমত কষ্টকর হয়।

শীতের সময় লাদেখের বেশ কয়েকটি এলাকায় টহল দেওয়াও কষ্টসাধ্য। আর ওই সময় জওয়ানরা হ্রদ বরাবর ফিঙ্গার এলাকায় যায়। কিন্তু রিজ লাইনগুলিতে চড়া সম্ভব হয় না। আর সেই সময় একজন থেকে দুজন জওয়ান হেঁটে হেঁটেই টহল দিতে পারে। 


তবে লাদাখের থেকেও সিয়াচেনের পরিস্থিতি আরও খারাপ থাকে। কারণ মাইনাস ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির বিরুদ্ধেও লড়াই করতে হয়। তবে সেনা বাহিনীর চিকিৎসা পরিষেবা ও থার্মাল গিয়ার খুবই উন্নতমানের হওয়া সেনাদের পক্ষে লড়াই করা অনেকটাই সহজ হয়েছে। কারণ ওই সেনা সিয়াচেন বা লাদাখে উচ্চ এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত জওয়ানরা যে অন্তর্বাসটি ব্যবহার করেন সেটিও ফিনল্যান্ড বা সুইডেন থেকে আসে।  সিয়াচেনে ভারতীয় জওয়ানরা ২০ হাজার ফুট উঁচুতে উঠে লড়াই করে। আর এখানে শীতের তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ৫৫ ডিগ্রি। 

"

PREV
click me!

Recommended Stories

8th pay Commission: ১৮ হাজার থেকে বেড়ে ৫১,৪৮০ টাকা? বেতন ও পেনশন নিয়ে সংশয় কাটাল কেন্দ্র
সংসদে ওয়াইসি ধামাকা! কী এমন বললেন ওয়াইসি?, করতালিতে ফেটে পড়ল সংসদ