
শুক্রবার থেকে 'মিশন বিহার' শুরু করেছেন অমিত শাহ। এদিন পূর্ণিয়ার জনসভা থেকে সীমাঞ্চল সফর শুরু করেছেন তিনি। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের এই সফরে বিহারের রাজনৈতিক পারদও উত্তপ্ত হয়েছে। জনসভা থেকে নীতিশ লালুকে কড়া আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিহারে দুদিনের সফরে থাকা অমিত শাহ বলেছেন, নীতীশ কুমার লালু প্রসাদ যাদবের কোলে বসার জন্য আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। সীমাঞ্চল নীতীশ কুমারকে উপযুক্ত জবাব দেবে। রাজনৈতিক জোট পরিবর্তন করে কি নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন?
অমিত শাহ আরও বলেন "বিজেপি আভিজাত্য দেখিয়েছিল কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আপনাকে মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু, যখন লোকসভা নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে, আপনি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। বিহারের মানুষ আপনাকে জানে। তারা আপনাকে সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু এখন তারা আপনাকে চেনে,তাই সাবধান”।
পূর্ণিয়ার এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে বিজেপির এই নেতা আরও বলেন, "জেডিইউ ও আরজেডি বলে আমি এখানে অশান্তি ছড়াতে এসেছি। আমি এখানে অশান্তি ছড়াতে আসিনি। এর জন্য লালু প্রসাদ যাদবই যথেষ্ট। আমি আপনাকে বলতে এসেছি সীমান্ত জেলাগুলি ভারতের একটি অংশ। ভয় পাবেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শাসনে সে নিয়ে আমাদের চিন্তা করার দরকার নেই।"
শাহ বলেন যে আমি নীতীশ কুমার এবং নতুন মন্ত্রী লালন সিংকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে জড়িতরা আপনার মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হয়েছিলেন, আপনি তাদের কীভাবে ধরবেন? আর মুখ্যমন্ত্রী লালুর চাপে সিবিআইকে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছেন। বিহারে 'জঙ্গল-রাজ'-চলছে।
রাজনীতিতে যোগ দিয়ে অনেকের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন নীতীশ কুমার বলে অভিযোগ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক জোট পরিবর্তন করে কি নীতীশবাবু প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন? রাজনীতিতে যোগদানের পর থেকে তিনি অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। লালু জি, সাবধান যে নীতীশবাবু কাল আপনাকে ছেড়ে কংগ্রেসের কোলে বসতে পারেন।
এদিকে, বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সীমানাচল সফর নিয়ে বিহারে যে রাজনীতি চলছে তা নিয়ে লালু যাদব এবং নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করেছেন। রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন- "আমি শুনেছি যে অমিত শাহের আগমনে লালু যাদব এবং নীতীশ কুমার বিরক্ত। উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও চিন্তিত যে কেন অমিত শাহ আসছেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কি লালুর জন্য বিহারে আসা উচিত? নীতীশ কুমারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে?"
রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, তাহলে একই ভাবে নরেন্দ্র মোদীও বিহারে আসতে পারেন না। প্রচার করতে পারেন না। তিনি বলেন, বিহার ভারতের একটি অংশ। বিহারে ভ্রমণ ও ঘোরাঘুরি করার অধিকার প্রত্যেকেরই রয়েছে। প্রত্যেক দেশবাসীর আছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে কোনো জায়গায় যেতে পারেন।
'সবুজ উন্নয়ন আর সবুজের চাকরি বাড়ানোই লক্ষ্য', পরিবেশমন্ত্রীদের বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
'ভারতীয়দের হিংসায় ভয় দেখানো যাবে না', PFIএর বনধ নিয়ে কড়া বার্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
NIA-র তল্লাশি অভিযান কলকাতার পার্ক সার্কাসে, দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ শেখ মোক্তারের বিরুদ্ধে