২৯ মে রাত্রিবেলা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং সহ রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রী ও সিনিয়ার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে আলোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
জাতি বিভেদের অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর। প্রথম দিকে অশান্তি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও তারপর সারা রাজ্য জুড়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে দাঙ্গা, বিক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে সোমবার নিজে গিয়ে উপস্থিত হলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মণিপুরে অশান্তি শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবার সেখানে পা রাখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সোমবার রাতে মণিপুর পৌঁছেই রাজ্যের অশান্তির পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং সহ রাজ্যের গভর্নিং কাউন্সিলের সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার কী পরিস্থিতি রয়েছে সেই বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন শাহ। কীভাবে রাজ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, সেই ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য আধিকারিকদের তিনি বিশেষ পরামর্শও দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এর সাথে সাথে, মেইতি ও কুকি সম্প্রদায়ের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি। অশান্তি বন্ধ করার ব্যাপারে এই সম্প্রদায়ের মানুষদের দাবি শুনবেন ভারতের গৃহমন্ত্রী।
মোট ৪ দিনের সফরসূচি নিয়ে সোমবার মণিপুরে গেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গে স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা সহ কেন্দ্রের সিনিয়ার আধিকারিকরাও উপস্থিত হয়েছেন। অশান্তিতে বিধ্বস্ত মণিপুরের পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক করে তোলার লক্ষ্যেই সেই রাজ্যে পৌঁছেছেন তিনি। আগামী ১ জুন পর্যন্ত তিনি মণিপুরেই থাকবেন বলে সূত্রের খবর। বিক্ষোভরত মেইতি ও কুকি সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি। এই বিষয়ে ২৯ মে রাত্রিবেলা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং সহ রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রী ও সিনিয়ার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে আলোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। হিংসা বন্ধ করার জন্য মেইতি ও কুকি সম্প্রদায়কে সতর্ক করা হতে পারে বলে জানা গেছে। এই বিষয়েও গতকালের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে যে, এই সম্প্রদায়গুলিকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হবে। তার বিনিময়ে তাঁদের অস্ত্র ফেরত দিতে বলা হবে। আলোচনার মাধ্যমে যাবতীয় সমস্যা সমাধান করে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। কুকি সম্প্রদায় ইতিমধ্যেই শান্তি চুক্তি করার জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। তারা তাদের এলাকায় স্বায়ত্তশাসনের দাবি করেছে, সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আরও পড়ুন-
কেন নিম্নবর্গীয় হিন্দু থেকে মুসলমান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন অসমের ‘নানকার কিরণ’-রা?
সাতসকালে খাদে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে উলটে গেল যাত্রীবোঝাই বাস, জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা
রাস্তার ধারে উলঙ্গ হয়ে বিক্ষত দেহে কাতরাচ্ছেন মানুষ, ‘জ়ম্বি ড্রাগ’-এর নেশায় ভয়ঙ্কর অবস্থা আমেরিকায়