সংক্ষিপ্ত

এই ড্রাগের নেশা এতও দ্রুত ছড়াচ্ছে যে, ইতিমধ্যেই তা পৌঁছে গিয়েছে আমেরিকা ছাড়িয়ে ইউরোপে। ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে স্তম্ভিত গোটা দুনিয়া। হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই এই ‘জ়ম্বি ড্রাগ’ বা জাইলাজিন-কে ‘বাড়ন্ত আতঙ্ক’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। 

ড্রাগের নেশায় বহু বছর আগে থেকেই কাবু হয়ে রয়েছে বিশ্বের উন্নততম দেশ আমেরিকা। সেই নেশা বাড়তে বাড়তে সাধারণ মানুষের মধ্যে এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে, সোশ্যাল দুনিয়ায় তার ভয়ঙ্কর ছবি দেখে শিহরিত হচ্ছেন সারা বিশ্বের মানুষ। সম্প্রতি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে বেশ কয়েকটি ভিডিও। যেগুলিতে দেখা যাচ্ছে উত্তর-পূর্ব আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়া থেকে শুরু করে পশ্চিম আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত শহর লস অ্যাঞ্জেলস পর্যন্ত, সর্বত্র মানুষের মধ্যে একেবারে রাক্ষুসে আকার ধারণ করেছে। মানুষের এই রাক্ষুসে প্রবৃত্তির কারণে নয়া মাদকটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘জ়ম্বি ড্রাগ’।

এই ড্রাগের নেশায় কখনও দেখা যাচ্ছে যে, রাস্তার ধারে শুয়ে ক্ষতবিক্ষত দেহে আছাড়িপিছাড়ি খাচ্ছেন কোনও তরুণী, আবার কখনও একেবারে মৃত্যুর পর্যায়ে থাকা মানুষের মুখে মাদকের গুঁড়ো ঢেলে দিচ্ছেন আর এক মাদকাসক্ত ব্যক্তি। এই ভয়াবহ চিত্র শিহরিত করেছে গোটা দুনিয়াকে।
 

 

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যে, ‘জ়ম্বি ড্রাগ’ আসলে এমন একটি ওষুধ, যার প্রকৃত নাম হল জাইলাজিন বা 'ট্রানক' (Xylazine or Tranq)। এই ওষুধ মানুষের মস্তিষ্ককে একেবারে স্তিমিত করে দিতে পারে, দেহের স্নায়ুতন্ত্রকে দমিয়ে দেয়, যার ফলে রক্তচাপ একেবারে কমে যেতে পারে, নিঃশ্বাস প্রশ্বাস ধীর হয়ে আসে, হৃদযন্ত্রের কাজ করা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এরপর রয়েছে ত্বকের ব্যাপক ক্ষতি। সম্প্রতি ফিলাডেলফিয়ায় মাঝ রাস্তার ওপর বা রাস্তার ধারে লাইন দিয়ে যেসব মানুষ বসে বা শুয়ে অদ্ভুত আচরণ করছেন, তাঁদের অনেকেরই শরীর ত্বকের ক্ষতির কারণে একেবারে ক্ষতবিক্ষত।
 


একজন স্থানীয় চিকিৎসক এই বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে, একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তির অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, তিনি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, ওই ক্ষতবিক্ষত ব্যক্তি ব্যাকুল হয়ে তাঁর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন যে, তাঁকে যেন কোনও ভাবেই চিকিৎসা করানোর জন্য হাসপাতালে না নিয়ে যাওয়া হয়। কারণ, হাসপাতালে গেলে সেখানে তাঁর নেশা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
 

 

হেরোইন, ফেন্টানাইল এবং কোকেনের প্রভাবকে শরীরের মধ্যে আরও বাড়িয়ে দেয় এই মাদক। এর নেশা এতও দ্রুত ছড়াচ্ছে যে, ইতিমধ্যেই তা পৌঁছে গিয়েছে আমেরিকা ছাড়িয়ে ইউরোপে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই এই ‘জ়ম্বি ড্রাগ’ বা জাইলাজিন-কে ‘বাড়ন্ত আতঙ্ক’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ফিলাডেলফিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, এই শহরটির অবস্থা এখন এক মহামারীর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

আরও পড়ুন-

নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনে হাজির হলেন না রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ডেপুটি চেয়ারম্যানের হাতে পাঠালেন ‘সন্তুষ্টি’-র বার্তা
পরিচয়পত্র ছাড়াই বদল করা যাবে ২ হাজারের নোট, বিজেপি নেতার আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট

ভয়ঙ্কর কাণ্ড! রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করার পরেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো