পঞ্জাব পুলিশের জালি অমৃতপাল সিং-এর দেহরক্ষী তেজিন্দর। তার কাছে রয়েছে খালিস্তান আন্দোলনের প্রচুর তথ্য।
খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিং-কে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পঞ্জাব পুলিশ। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে পঞ্জাব পুলিশের জালে পড়েছে অমৃতপাল সিং-এর বর্ডিগার্ড বা দেহরক্ষী তেজিন্দর সিং। তেজিন্দর গোর্খা বাবা নামেই অধিক পরিচিত। পঞ্জাব পুলিশের দাবি তেজিন্দরকে জেরা করেছে অমৃতপাল সম্পর্কে বড় ব্রেকথ্রু পেয়েছে তারা। খালিস্তান পরিকল্পনা নিয়ে অনেক কিছুই জানিয়েছেন সে। তেমনই দাবি করছে পঞ্জাব পুলিশ।
পঞ্জাব পুলিশ মালাউদ এলাকা থেকে অমৃতপাল সিং-এর দেহরক্ষী তেজিন্দর সিং অরফে গোর্খা বাবাকে গ্রেফকার করেছে। পুলিশের অনুমান তেজিন্দর অমিতপালের ঘনিষ্ট সুরক্ষা দল ও আনন্দপুর খালসা ফৌজ-র একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তেজিন্দরকে জেরা করেই পুলিশ খালিস্তান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে বলেও দাবি করছে।
পঞ্জাব পুলিশের দাবি খালিস্তান তৈরির জন্য সশস্ত্র লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করেছিল অমৃতপাল। সেইজন্যই আনন্দপুর খালসা ফৌজ বা AKF তৈরি করেছিল। তেজিন্দরকে এই ফৌজ দলের সদস্য হিসেবেই অস্ত্র দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয় এই দলের সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ারর ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। গোপনেই চলত প্রশিক্ষণ। তেজিন্দরও এই দলের সদস্য হিসেবে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। পাশাপাশি সামরিক মহড়াতেও অংশ নিয়েছিল তেজিন্দর।
পুলিশ সূত্রের খবর তেজিন্দরের ফোনে প্রস্তাবিত খালিস্থান রাষ্ট্রে প্রতীক ও লোগোর ছবি ও একাধিক ভিডিও রয়েছে। সেইসঙ্গে যুবকদের কীভাবে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হত তারও ভিডিও রয়েছে। পাশাপাশি অস্ত্রের ব্যবহারেরও একাধিক তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। তেজিন্দরকে আরও জেরা করা হবে বলেও পুলিশ সূত্রের খবর। তেজিন্দরের কাছে আরও তথ্য রয়েছে বলেও মনে করছে পুলিশ।
অন্যদিকে অমৃতপালকে এখনও হাতে পায়নি প্রশাসন। অনুমান ঘনঘন অবস্থার পরিবর্তন করছে খালিস্তানপন্থী নেতা। বৃহস্পতিবারই অমৃতপালকে হরিয়ানায় দেখা দিয়েছিল। তরপরই বদলে গেছে তার অবস্থান। তবে অমৃতপালকে পাকড়াও করতে বদ্ধ পরিকর পুলিশ। দেরাদুন, হরিদ্বার-সহ একাধিক জায়গায় নজরদারি বাড়ান হয়েছে। তবে খালিস্তানি নেতা পঞ্জাবে যে নেই তাও স্পষ্ট করে জানিয়েছে পুলিশ। অমৃত সিং যাতে দিল্লি যেতে না পারে তারজন্য সবরকম চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বলজিৎ কৌর নমে এক মহিলার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে সে। তবে এখনও সঠিক তথ্য পুলিশের হাতে নেই। সেই কারণে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারছে না বলেও পুলিশ সূত্রের খবর। কিন্তু খালিস্তানপন্থী এই উগ্র নেতাকে হাতে পেতে মরিয়া চেষ্টা করছে পুলিশ।