কোন অভিযুক্তের দোষ প্রমাণিত না হলে তাকে বন্দি করে রাখা যায় না-লখিমপুর খেরি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সু্প্রিম কোর্টের

উত্তর প্রদেশে সরকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিসকে জামিন দেওয়ার বিরোধিতা করে। রাজ্য সরকারের আইনজীবী গরিমা প্রসাদ আদালতে বলেন, এটি একটি জঘন্য ও গুরুতর অপরাধ। এই মামলায় অভিযুক্ত আশিস মিশ্রকে জামিন দেওয়া হলে তা সমাজে ভুল বার্তা যাবে।

Web Desk - ANB | Published : Jan 19, 2023 10:12 AM IST

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরি হিংসা মামলায় অভিযুক্ত আশিস মিশ্রের জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জে কে মহেশ্বরীর বেঞ্চ আশীষ মিশ্রের জামিন আবেদনের শুনানি শেষ করে সিদ্ধান্ত সংরক্ষিত রেখেছে।

শুনানির সময়, উত্তর প্রদেশে সরকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিসকে জামিন দেওয়ার বিরোধিতা করে। রাজ্য সরকারের আইনজীবী গরিমা প্রসাদ আদালতে বলেন, এটি একটি জঘন্য ও গুরুতর অপরাধ। এই মামলায় অভিযুক্ত আশিস মিশ্রকে জামিন দেওয়া হলে তা সমাজে ভুল বার্তা যাবে। আশীষ মিশ্র সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করার পরে, বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি বিভি নাগরত্নের একটি বেঞ্চ বিষয়টি সিজেআই-এর কাছে রেফার করে। এর পর শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ গঠন করেন সিজেআই। এরপর তার মামলার শুনানি হয়েছে।

২০২১ সালের তেসরা অক্টোবর তারিখে, লখিমপুর খেরি জেলার ঘটনায় 8 জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। কৃষকরা তাদের এলাকায় উত্তরপ্রদেশের ডেপুটি সিএম কেশব প্রসাদ মৌর্যের সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন। একই সময়ে একটি এসইউভি ৪ জন কৃষককে পিষে মেরে ফেলে। এই এসইউভিতে বসেছিলেন অভিযুক্ত আশিস মিশ্র।

এর পরে, এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ কৃষকরা এসইউভির চালক এবং দুই বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ। হিংসাত্মক এই ঘটনায় প্রাণ হারান এক সাংবাদিক। হিংসার মামলায় আশিস মিশ্র সহ মোট ১৩ জনের বিচার চলছে। মোট ১৩ জন অভিযুক্তকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ১৪৭, ১৪৯, ১৪৮, ৩০৭, ৪২৭, ৩২৬, ৩০২, এবং ১২০(বি) এবং মোটর যান আইনের ১৭৭ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এদিন রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলে কোনও অভিযুক্তকে অপরাধের জন্য দোষী প্রমাণিত না হলে তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলে বন্দি রাখা উচিত নয়, সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্রের ছেলের জামিন আবেদনের শুনানির সময় এই রায় দেয়।

আশীষ মিশ্রের পক্ষে আদালতে উপস্থিত অ্যাডভোকেট মুকুল রোহাতগি বলেন, আশীষ মিশ্র গত এক বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। একবার জামিন পেলেও সুপ্রিম কোর্ট জামিন নাকচ করে দেয়। এ মামলায় চার শতাধিক সাক্ষী রয়েছে, যাদের জবানবন্দি নেওয়া হবে। এই ক্ষেত্রে ট্রায়াল পাঁচ বছর চলবে এবং এই ক্ষেত্রে আমার মক্কেলের কি হবে? আশীষ মিশ্রের আইনজীবী বলেছেন যে দ্বিতীয় যে এফআইআরটি নথিভুক্ত করা হয়েছে তাতে অভিযোগগুলি অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো প্রত্যক্ষদর্শী এগিয়ে আসেনি। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে বলা হয়, এই মামলার ৪ আসামির জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছে ট্রায়াল কোর্টে। রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, আশীষ মিশ্রকে জামিন দেওয়া উচিত নয়, আমরা তার জামিনের বিরোধিতা করছি।

Share this article
click me!