ভৌগোলিক নিরীক্ষণ অনুযায়ী, প্রায় ৪.৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পের প্রভাব কেবলমাত্র ভারতের কয়েকটি রাজ্যেই নয়, এর প্রভাব গিয়ে পড়েছে প্রতিবেশী দুই দেশ নেপাল এবং চিনের ওপরেও।
একের পর এক ভূমিকম্পে ছত্তিশগড় রাজ্য জুড়ে তীব্র আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। এর আগে ভূকম্পনের মাত্রা মাঝারি হলেও তার প্রভাবে আহত হয়েছিলেন কয়লাখনিতে কাজ করতে নামা মানুষ। এবার ফের ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় তটস্থ রয়েছেন রাজ্যবাসী।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (NCS)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৪ সেপ্টেম্বর ভোরবেলা হালকা তীব্রতার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ছত্তিশগড়। শুক্রবার সকালে ৪.৮ মাত্রার একটি মাঝারি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে ছত্তিশগড়ে। কম্পনের প্রভাব গিয়ে পড়েছে সরগুজা জেলার অম্বিকাপুরে। ভূকম্পনটি অম্বিকাপুরের ৬৫ কিলোমিটার পশ্চিম উত্তর-পশ্চিমে সকাল ৫টা বেজে ২৮ মিনিটে ২৩.৩৩ অক্ষাংশ এবং ৮২.৫৮ দ্রাঘিমাংশে হয়েছিল।
ভূমিকম্পের গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি। ১৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাজস্থানের চুরু জেলার কিছু অংশেও কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৫। ভূমিকম্পের তীব্রতা অপেক্ষাকৃত কম থাকায় বড়সড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কোনও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির কোনো খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
ভৌগোলিক নিরীক্ষণ অনুযায়ী, প্রায় ৪.৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পের প্রভাব কেবলমাত্র ভারতের কয়েকটি রাজ্যেই নয়, এর প্রভাব গিয়ে পড়েছে প্রতিবেশী দুই দেশ নেপাল এবং চিনের ওপরেও। প্রথম কম্পনের প্রাবল্য কম থাকলেও পরবর্তী আফটার শকের প্রাবল্য তীব্র হবে কিনা, সেবিষয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে।
আরও পড়ুন-
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগের বিপক্ষেই গেল কলকাতা পুলিশ
নোটবন্দি কি প্রত্যেক ভারতীয়ের পক্ষে মঙ্গলকর? মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে ফের নজরদারি সুপ্রিম কোর্টের
গুজরাতে গিয়ে ফের নরেন্দ্র মোদীর ‘শহুরে নকশাল’ মন্তব্য, নিশানা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দিকেই?