গালওয়ান থেকে নিতে হবে শিক্ষা, সুযোগ খুঁজছে চিন, গভীর ব্যাখ্যায় অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসনাইন

গালওয়ানে যে সময় সংঘর্ষ হয়েছিল তার আগে ভারত ও চিনের মধ্যে বেশ একটা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। দুই দেশেরই শীর্ষনেতা এবং রাষ্ট্রনায়করা আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও ব্যবসায়ীক সম্পর্ককে মজবুত করার কথা বলছিলেন। আর সেই সময়ই এক্কেবারে বিপরীত মেরুতে গিয়ে গালওয়ানে ভারতীয় সেনার উপরে হামলা করে চিনের পিএলএ।

Asianet News Bangla | Published : Jun 1, 2021 1:49 PM IST / Updated: Jun 01 2021, 07:41 PM IST

অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসনাইন---- ইন্দো-চিন সম্পর্কে গালওয়ান একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বলতে গেলে লাদাখের সীমান্তে গালওয়ান সংঘর্ষ ইন্দো-চিন-এর মধ্য়েকার চিরাচরিত সামরিক জমায়েতে এক প্রবলব প্রভাব তৈরি করেছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবরই একটা দাদাগিরি দেখানোর চেষ্টা করে আসত চিন। কিন্তু গালওয়ানে ভারতীয় সেনাবাহিনী চিনের পাবলিক লিবারেশন আর্মির মুখের উপরে একটা কড়া থাপ্পড় মেরেছে। ২০২০সালের ১৫ ও ১৬ জুন লাদাখ সীমান্তে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের বাহিনীর মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ লেগেছিল। প্রথম হুমকি-চোখ রাঙানি এরপর গায়ের জোরে ভারতীয় সেনাদের উপর হামলা করতেই কড়া প্রত্যুত্তর দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। খালিহাতে হওয়া এই খণ্ডযুদ্ধে দুপক্ষেরই রক্ত ঝরে। গালওয়ান-এর এই সংঘর্ষ এক বছর পূরণ করছে। আর এই একবছরে গালওয়ান শুধু ভারত-চিনের সীমান্ত সমীকরণকেই বদলে দেয়নি, সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক ভৌগলিক সীমান্তের দাদাগিরির খেলাতে চিনকে বেশ চাপে ফেলে দিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও। 

গালওয়ানে যে সময় সংঘর্ষ হয়েছিল তার আগে ভারত ও চিনের মধ্যে বেশ একটা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। দুই দেশেরই শীর্ষনেতা এবং রাষ্ট্রনায়করা আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও ব্যবসায়ীক সম্পর্ককে মজবুত করার কথা বলছিলেন। আর সেই সময়ই এক্কেবারে বিপরীত মেরুতে গিয়ে গালওয়ানে ভারতীয় সেনার উপরে হামলা করে চিনের পিএলএ। এরকিছুদিন আগেই আবার করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসাবে চিনের নাম জড়িয়েছে। ভারতেও আছড়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের প্রাথম ঢেউ। এমন এক পরিস্থিতিতে গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় সেনার টহলদারিতে বাধ সাধে চিন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাকে প্যাট্রল পয়েন্ট বলেও অভিহিত করা হয়। 

যে কোনও ধরনের কনভেনশনাল ওয়ার-এর ক্ষেত্রে পিএলএ দূর্বলতা বারবারই সামনে এসেছে। কিন্তু, সবসময়-ই চিন এই দূর্বলতাকে পিএলএ-র উপরে রঙ-চঙ মাখিয়ে ফাপিয়ে রাখে। ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে এমনভাবে তারা গল্প তৈরি করতে ভালোবাসে যে লোকে বিস্মিত হতে বাধ্য। এরসঙ্গে এমন একটা বন্ধুত্বের নাটক করবে যেন মনে হবে তারা না জানি কত ভালো। গালওয়ানে যে সমস্যা তৈরি হতে চলেছে তার আঁচ ২০২০ সালের জ৬ জুন-ই পাওয়া গিয়েছিল। কারণ ওই দিনই চিনের পিএলএ-র চাপানো শর্ত ভারতীয় সেনা মানতে অস্বীকার করে এবং এতে একটা মত পার্থক্য তৈরি হয়। যদিও প্রাথমিকভাবে দুপক্ষই পিছু হঠে যেতে ঐক্যমত হয়েছিল। 


গালওয়ান ভ্যালি থেকে চিন আদৌ তাদের সেনা ক্যাম্প এবং অন্যান্য নির্মাণ সরিয়ে নিয়েছে কি না তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেতে গিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটা ছোট দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন কর্ণেল বাবু এবং তাঁর কয়েক জন জওয়ান। গালওয়ান উপত্যকায় অধিক সংখ্যায় চিনা সেনা নিরস্ত্র কর্ণেল বাবুদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়া শুধু নয় তাঁদের নির্মমভাবে হত্যা করে। খুনের জন্য চিনের লাল ফৌজের দল ব্যবহার করেছিল বিভিন্ন ধারাল অস্ত্র এবং পাথদিয়ে তৈরির বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনিওয়ালা ভারী-ধারালো অস্ত্র। আধুনির যুদ্ধক্ষেত্রে এই ধরনের অস্ত্র চোখে পড়ে না। এর অবশ্য একটা উদ্দেশ্য ছিল যে চিনের লাল ফৌজের নৃশংসতা ও নির্মমতাকে ভারতীয় সেনার সামনে আনা ও কড়া বার্তা দেওয়া। চিনের লালফৌজের এই নৃশংতায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানরা ভয় তো পেলই না উল্টে প্রতিশোধের স্পৃহায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নিজেদের জমায়েত বাড়িয়ে দিয়েছিল। চিন নিজের মান বাঁচাতে তাদেরও লালফৌজের অতিরিক্ত বাহিনীকে গালওয়ানের বুকে ঠেলে দিয়েছিল। এই অস্থীর পরিস্থিতি ভারত ও চিনের মধ্যে ১১টি ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছিল। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। চিনের দাদাগিরির সমুচিত জবাবা দিতে তৈরি ছিল ভারত। তাও একটা চেষ্টা ছিল যদি শান্তিপূর্ণভাবে চিন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে ভারতীয় ভূখণ্ডের দখলদারি ছেড়ে চলে যায়। তেমনটা হয়নি। 

এহেন পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতীয় সেনার অভিযান করে চিনের হাত থেকে চুসুল-মোলডো পুনর্দখল করে। এতে ভৌগলিকভাবে ভারত এই অঞ্চলে চিনের লাল ফৌজের থেকে বাড়তি সুবিধা পেয়ে যায়। অগাস্ট মাসের ২৯-৩০ তারিখ, ২০২০ তে হওয়া এই অভিযান স্বাভাবিকভাবেই চিনকে কূট সামরিক চালে পিছন দিকে ঠেলে দেয়। এর ফলে ভারত অতি দ্রুত কুখ্যাত ফিঙ্গার এলাকা থেকেও চিনের লাল ফৌজকে তাড়িয়ে দেয়। 

বর্তমানে ভারত ও চিনের সম্পর্ক এমন একটা জায়গায় আটকে রয়েছে যেখানে দুই দেশই 'নো-ওয়ার নো-পিস' এমন একটা পরিবেশে স্থিতাবস্থা বজায় রেখেছে। অতিমারির প্রকোপ স্বাভাবিকভাবেই দুই দেশের মধ্যেকার এই অচলাবস্থায় খুব একটা ফোকাস ফেলতে দিচ্ছে না। তবে, এই অচলাস্থা যে এক্ষুণি-এক্ষুণি কেটে যাবে এমনটা নয়। তাই এই প্রসঙ্গে কিছু আলোচনা এবং কিছু পয়েন্ট অবশ্যই সকলের মনের মধ্যে থাকা উচিত। 

আমরা এখনও এটা লোক বোঝাতে পারিনি যে চিন ২০২০ সালের মে মাস এবং তার পরবর্তী সময়ে কেন সীমান্তে এমনই হামলা করতে গেল। এর ফলে আমাদের পরিস্থিতি অনেকটা ১৯৬৩ সালের মতো হয়েছে, তখনও আমরা বোঝাতে পারিনি চিন কেন আমাদের আক্রমণ করেছিল। প্রথমে সীমান্তে একটা উত্তেজনা তৈরি করা, এরপর একটা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলা, অন্য দেশের ভূখণ্ডে হানাদার হয়ে ঢুকে নিজের বলে তা দাবি করা এবং পরে সেই ভূখণ্ড ফাঁকা করে দিয়ে পিছু হঠা- এটা কোনও সাধারণ সেনাবাহিনীর চারিত্রিক গঠন নয়, এর পিছনে চিনের কোনও দূরভিসন্ধি রয়েছে। এপ্রিল, ২০২০০-র দিকে তাকালেই বোঝা যাবে এর পিছনে চিনের একটা কৌশল শুধু ছিল তা নয়, এর পিছন পিছনে একটা প্রগাঢ় বন্ধুত্বের ভান করার পিছনেও ছিল কূট ষড়যন্ত্র। 

চিনের নিজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের ইনপুট এবং ব্যাখ্যা মোটামুটি তাদের একটু হলেও চিন্তায় ফেলেছিল। বিশেষ করে আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়জয়কার পরিস্থিতি, আফগানিস্তান ও মধ্য-প্রাচ্যে শান্তি বিরাজমানে চিন-এর কোনও লাভ হচ্ছিল না। বরং ভারতীয় উপমহাদেশে চিন বিদ্বেষের মাত্রা ক্রমশই বেড়ে চলেছিল। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আমেরিকার এক এক শক্তিশালী বন্ধু হিসাবে ভারতের আত্মপ্রকাশ বহু বছরই ঘটে গিয়েছে। এটা স্বাভাবিকভাবেই চিনকে আতঙ্কে রেখেছে। ভারতের বুকেও যেভাবে চিন বিদ্বেষ আস্তে আস্তে মাথা চাড়া দিচ্ছে তা খানিকটা হলেও অস্বস্তিতে রেখেছে বেজিং-কে। ভারত হাতছাড়া হওয়া মানে চিনের এক
টা বড় বাজার হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়া। 

চিনের সবচেয়ে বড় ভয় মেরিটাইম জোন। যা তারা জোর করে দখল করে রেখেছে। চিনের এই দখলদারি এলাকার খুব কাছেই গত কয়েক বছরে নৌবহরের শক্তি বাড়িয়ে চলেছে আমেরিকা। কিন্তু ভারত মহাসাগরের বুকে এখনও সেভাবে কারও আধিপত্য বিস্তার হয়নি। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের কৌশলগত অবস্থান ভারত মহাসাগরের সামরিক শক্তির আধিপত্যে চিনের মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে। এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সামরিক শক্তির আদানপ্রদানে ভারত ও আমেরিকা ক্রমশই কাছাকাছি আসছে। বিশেষ করে স্থলযুদ্ধে ভারতীয় সেনার রণকৌশল প্রত্যক্ষ করলে এমন ধারনা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। তর্কের খাতিড়ে এটা উড়িয়ে দেওয়া ভুল হবে যে ভারতের সামরিক শক্তিবৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবেই চিনকে চাপে ফেলে দিয়েছে শুধু নয় সীমান্তে যে দাদাগিরি বেজিং এতদিন দেখিয়ে আসত তা যে আর সম্ভব হবে না তাও বুঝতে পেরেছে। 

চিন হয়তো এখান থেকেই সীমান্তে একটা নতুন খেলা খেলতে চাইছে- আর তা হল উত্তেজনা তৈরি করে ভারতীয় সেনাকে সেখানে আটকে রাখা। আসলে যে উত্তেজনা এবং হিংসাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হচ্ছে তার পিছনে রয়েছে এক সুগভীর ষড়যন্ত্র। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিবেশে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ককে সদর্থকভাবে ব্যবহার করাটা আবশ্যিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। একে অপরের সঙ্গে লড়াই না করা বা ঝামেলায় জড়িয়ে না পড়া নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত হতে পারে, কিন্তু আগামী দিনে এমনটা যে হবে না তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় টহলদারি না রাখার বিষয়ে ঐক্যত এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে নজরদারি ও ক্যাম্প সরিয়ে নেওয়াটা আমাদের হয়তো আগামী দিনে দুই দেশের বাহিনীর রক্তক্ষয়ী লড়াই থেকে রক্ষা করতে পারে, কিন্তু, এটাতে চিনকে বিশ্বাস করে নেওয়াটা কার্যত ভুল হবে। বিশেষ করে যতক্ষণ না পর্যন্ত একটা তাৎপর্যপূর্ণ ফল এখান থেকে প্রতিফলিত হচ্ছে। আর এটাও হলফ করে বলা যাচ্ছে না এই কাজগুলি করলেই চিনের সঙ্গে আগামী দিনে সীমান্তে কোনও দ্বন্দ্ব তৈরি হবে না। গালওয়ানে যা হয়েছিল তার জেরে এখন উত্তরভারতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ৬০ হাজার জওয়ানকে মোতায়েন করে রাখতে হয়েছে। 

এটা পরিস্কার যে চিন এখন ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ মোডে রয়েছে। বিশ্বজুড়ে যে চিন বিরোধিতা চলছে তা তারা ভালো করে নজরে রেখেছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে তারা তাদের কূটনীতি ছেড়ে দেবে এবং শান্ত হয়ে বসে পড়বে। চিন ভালোমতোই জানে গালওয়ানে তারা যা করেছে তাতে তাদের হারানোর কিছু নেই, বরং ভারত যদি একটু অসতর্ক হয়ে পড়ে তাহলে তারা অনেককিছুর ফায়দা এতে তুলে নিতে সক্ষম হবে। তথাপি ভারত এখনও যে একটি সমঝোতার মানসিকতা দেখাচ্ছে এটা বলা যাবে না, তবে এটাও সত্যি যে আমাদের এমনকিছু করতে হবে বাস্তবসম্মতভাবে যাতে চিনের মুখোশটা খুলে দেওয়া যায়। 

শীতকালে যেভাবে লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন থাকা ভারতীয় সেনা-র কাছে রসদ পৌঁছেছে তা এককথায় অসাধারণ। কিন্তু, মাথায় রাখতে হবে এটা যথেষ্ট নয়। লাদাখে যদি সেনাবাহিনীকে আরও শক্তশালী করতে হয় তাহলে আরও অনেককিছু ভাবতে হবে আমাদের। মাও সে তুং-এর সময় থেকেই চিনের পিএলএ তাদের যুদ্ধের রণকৌশলে অনেক বদল এনেছে এবং অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়েছে। আমাদের বাহিনীকেও যথোপযুক্ত অত্যাধুনিক এবং এই সব অঞ্চলে লড়াই করতে সক্ষম অস্ত্রে সজ্জিত করতে হবে। আমরা গত এক বছর ধরে লাদাখের এই অঞ্চলে রাস্তা তৈরি, বসতি তৈরি কথা বলেছি। কিন্তু আমাদেরকে দেখতে হবে চিন কীভাবে তীব্বতের উপরে আধিপত্য তৈরি করা শুধু নয় নিজেদের সামরিক শক্তির বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। আমাদেরও ,তেমন পদ্ধতিতে লাদাখের এই অঞ্চলে সামরিক শক্তিকে বলিয়ান করে তুলতে হবে। ভাবতে হবে ডেলিবারেট ডিফেন্স ইন ডেপথ বলতে যা বোঝায় আমাদেরকে সেটা করে দেখাতে হবে। এর ফলে সামরিক অভিযানে আমরা যে এলাকা দখল করতে সমর্থ হব তা ভবিষ্যতে ধরে রাখার বিষয়টি আরও পোক্ত হবে। 

ভারতকে এটাও ভাবতে হবে যে এমন একটি দেশ বন্ধুত্বতা করতে চাইছে যারা অতিমারি সঙ্কটে দেশের পরিস্থিতির ফায়দা তুলতে চায় এবং এমন এক সঙ্কটের সময়েও তারা আমাদের ভূখণ্ড দখলের জন্য হামলা করতেও পিছপা হচ্ছে না। এরপরের কলমে আমি অবশ্যই গালওয়ান নিয়ে আরও বেশি করে কূটনৈতিক দিকটিকে তুলে ধরব।  

লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ আটা হাসনাইন, শ্রীনগরের ১৫ কর্প-এর প্রাক্তন কমান্ডার এবং এই মুহূর্তে কাশ্মীরের সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি-র ভাইস-চ্যান্সেলর পদে কর্মরত। এখানে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি জুন ১, ২০২১-এ দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রথম প্রকাশিত হয়।  

Share this article
click me!