Cyclone Dana: ঘূর্ণিঝড় দানার দাপট শুধু বাংলা আর ওড়িশায় সীমাবন্ধ নয়, বড় সতর্কতা এই ৫ রাজ্যের জন্য

ঘূর্ণঝড় দানা দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছে উপকূলের দিকে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী এটি আছড়ে পড়বে ওড়িশা। সবথেকে বেশি প্রভাব পড়তে পশ্চিমবঙ্গে।

হাওয়া অফিসের বার্তা অনুযায়ী প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানা শুধুমাত্র দুই রাজ্যেই দাপট চালিয়ে ক্ষান্ত হবে এমনটা নয়। বাংলা-ওড়িশার সঙ্গে আরও পাঁচ রাজ্যে পড়বে দানার প্রভাব।

ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও দানার তাণ্ডব চলবে পঁচ রজ্যে। প্রত্যেকটি রাজ্যকেই সতর্ক করা হয়েছে।

মৌসম ভবনের অধিকর্তা মৃত্যুঞ্চয় মহাপাত্র বলেছেন, স্থলভাগে আছড়ে পরার পরে শক্তি হারাবে দানা। ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপে পরিণত হবে।

মৌসম ভবন জানিয়েছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পরে দানা পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। যার কারণে পাঁচ রাজ্যে ভারী প্রভাব পড়েব।

মৌসমভবনের বার্তা অনুযায়ী দানার প্রভাবে পাঁচ রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোনও কোনও রাজ্যে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোথাও হবে হালকা বৃষ্টি।

মৌসম ভবন জানিয়েছে, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ‘দানা’র তাণ্ডব চলবে অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়, বিহার এবং তামিলনাড়ুতে।

প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের ১২টি জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুতে ঘণ্টা ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

আগামিকাল থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ছত্তিশগড়ের ৮ জেলায় প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঝাড়খণ্ড , অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে ঝোড়ো হাওয়ারসঙ্গে ভারী থেকে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহবিদেরা জানিয়েছেন, ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে ‘দানা’ আছড়ে পড়তে পারে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে। আছড়ে পড়ার সময় গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার। সর্বাধিক গতি পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার।