ভারতীয় সেনার কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল, জনা কয়েক লোক একটা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। সঙ্গে রয়েছে মারণ অস্ত্র। সেই খবর পাওয়া মাত্রই মঙ্গলবার গভীর রাতে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে ভারতীয় সেনা। জম্মু কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার সুন্দেরবানি টাউনে শুরু হয় ভয়াবহ গুলির লড়াই। জম্মুর সীমান্তে এই গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
বুধবার সকালে ভারতীয় সেনার মুখপাত্র জানান সীমান্তবর্তী গ্রাম দাদালে গুলির লড়াই শুরু হয়। এক ভারতীয় জওয়ান সামান্য জখম হয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে। মঙ্গলবারই এক অপারেশনে খতম হয় লস্কর ই তইবার শীর্ষনেতা ও এক পাকিস্তানি জঙ্গি। লস্করের যে শীর্ষ নেতাকে নিকেশ করা গিয়েছে, তার নাম আবরার। মঙ্গলবার ভোররাতে এক এনকাউন্টারে কাশ্মীর পুলিশ খতম করে এই লস্কর কমান্ডারকে।
মঙ্গলবার সকালে কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার জানান, শ্রীনগরের মালুরা পারামপোরায় এই এনকাউন্টার শুরু হয়। সেখানেই নিকেশ হয় আবরার। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট সূত্রে খবর ছিল জঙ্গিদের বিষয়ে। তারপরেই হামলা চালানো হয়। প্রথমে গোটা এলাকা নাকাবন্দি করে ফেলে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফ। হাইওয়ের ওপরে একাধিক জায়গায় ঘাঁটি গাড়ে যৌথ বাহিনী। কারণ খবর মেলেছিল হাইওয়ের ওপর হামলা চালানো হতে পারে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সফরের মাঝেই ভূমিকম্প, দুলে উঠল লাদাখের মাটি
জম্মু বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা, কাশ্মীরে পুলিশ অফিসারের বাড়িতে ঢুকে গুলি করার মত নাশকতার ঘটনায় উত্তপ্ত ছিল ভূস্বর্গ। মঙ্গলবারের গুলি বিনিময়ে তিনজন সিআরপিএফ জওয়ান আহত হন। গুলি লাগে আবরারেরও। এই এনকাউন্টারেই আরেক পাক জঙ্গি খতম হয়। ওই বাড়িটি থেকে দুটি এ কে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
২৭শে জুন রবিবার একাধিক নাশকতা দেখে কাশ্মীর। জম্মু বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা, জম্মু থেকে সেদিনই উদ্ধার হয় প্রচুর বিস্ফোরক, এরই সঙ্গে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় স্পেশাল পুলিশ অফিসারের বাড়িতে প্রাণঘাতী হামলা চালাল জঙ্গিরা। পরপর নাশকতামূলক কাজে কেঁপে ওঠে ভূস্বর্গ।