মানিক সাহার জন্ম আগরতলাতেই জন্ম। সেখানেই বেড়ে ওঠা। ৬৯ বছরের মানিক সাহার ঝুলিতে রয়েছে B.D.S., M.D.S এই দুটি মেডিক্যাল ডিগ্রি।
স্বপ্নের উত্থান মানিক সাহার। দাঁতের ডাক্তার থেকে আজ তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরার ১১তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন তিনি। ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতিও তিনি। একটা সময় কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। তারপর থেকেই ঘুরে যায় তাঁর রাজনৈতিক জীবনের মোড়। রাজ্যরাজনীতিতে বরাবরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ঘনিষ্ট হিসেবেই পরিচিত ছিলেন মানিক সাহা। এদিন নিজের উত্তরসুরীর নামও ঘোষণা করেন বিপ্লব দেব।
মানিক সাহার জন্ম আগরতলাতেই জন্ম। সেখানেই বেড়ে ওঠা। ৬৯ বছরের মানিক সাহার ঝুলিতে রয়েছে B.D.S., M.D.S এই দুটি মেডিক্যাল ডিগ্রি। ডেন্টাল সার্জন হিসেবে পরিচিত তিনি। ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ, আগরতলা বিআর আম্বেদকর মেমোরিয়াল টিচিং হাসপাতালে অধ্যাপক ছিলেন। বিভাগীয় অধ্যাপকের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। রাজ্যে পরিচিত দন্তচিকিৎসক হিসেবে তাঁর খ্যাতি রয়েছে। ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন তিনি। মানিক সাহা বিপ্লব দেবের ঘনিষ্ট হিসেবেই পরিচিত রাজ্যরাজনীতিতে। ২০২১ সালে ত্রিপুরা বিজেপির প্রদেশ কমিটির সভাপতিও হন তিনি। এই বছরই প্রথম দিকে ত্রিপুরা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাবের পর সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন তিনি আগেও যেমন বিজেপির কর্মী ছিলেন এখনও তেমন বিজেপির কর্মী হিসেবেই দল তাঁকে যা কাজ দেবে তাই করবেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার কিছু ফুল বিছান নয়। কারণ বিপ্লব দেব তাঁর নাম প্রস্তাবের পরই ত্রিপুরার বিধায়কদের একটা অংশ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাদের নেতৃত্বে ছিল রাজ্যের মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল। বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতি হয়ে যায়। মন্ত্রী রেগে গিয়ে একটি চেয়ারও ভেঙে ফেলেন।
আগামী বছরই ত্রিপুরা বিধানসভার ৬০টি আসনে নির্বাচন। তার আগে ত্রিপুরার রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন নিয়ে এল বিজেপি। যা নিয়ে কিছুটা হলেও রাজ্যরাজনীতিতে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। যদিও ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহযোগী বিপ্লব দেব তাঁকে সর্বদা সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু রাজনীতি বড়ই কঠিন বিষয়।