এই নিয়ে অসমে তিন নম্বর মাদ্রাসা গুড়িয়ে দেওয়া হল। গ্রেফতার করা হল ইমাম সহ মাদ্রাসার শিক্ষকদেরও। মার্চ থেকে সন্ত্রাসী যোগসূত্রের অভিযোগে মোট ৩৭ জনকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশ।
জিহাদি' কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে ভাঙা হল আরও একটি মাদ্রাসা। এই নিয়ে অসমে তিন নম্বর মাদ্রাসা গুড়িয়ে দেওয়া হল। গ্রেফতার করা হল ইমাম সহ মাদ্রাসার শিক্ষকদেরও। মার্চ থেকে সন্ত্রাসী যোগসূত্রের অভিযোগে মোট ৩৭ জনকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশ।
বুধবার অসমের বোঙ্গাইগাঁও জেলার একটি মাদ্রাসার মধ্যে 'জিহাদি' কার্যকলাপ চালানো হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই ভেঙে ফেলা হয় জোগিঘোপা এলাকায় মারকাজুল মা আরিফ কোয়ারিয়ানা মাদ্রাসার ভবনটি। এই কাজের জন্য বুলডোজার মোতায়ন করা হয় বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্তা।
এর আগে হাওলিতে একটি মাদ্রাসা — জামিউল হুদা একাডেমি — সোমবার ভেঙে দেওয়া হয়েছিল এবং মরিগাঁও জেলার মইরাবাড়িতে একই নামে আরেকটি মাদ্রাসা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে একটি বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে এসপি স্বপ্ননীল ডেকা বলেছিলেন, “আমরা একটি আদেশ পেয়েছি যে কাঠামোটি বাসিন্দাদের জন্য বিপজ্জনক। আল-কায়েদা ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক জেহারুল ইসলাম (৩৫)কে গ্রেফতার করেছে গোয়ালপাড়া পুলিশ। পুলিশ ভবন থেকে বাংলা ভাষায় মুদ্রিত কিছু এবিটি লিফলেট বাজেয়াপ্ত করেছে।"
আরও পড়ুন - আগুনের স্ফুলিঙ্গ দমিয়ে যথারীতি ফর্মে ফিরল ভারতীয় বায়ুসেনার ‘চিনুক’
অপরদিকে, কংগ্রেস সাংসদ আবদুল খালক এই কাজের তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি টুইট করেছেন, "আমি বোঙ্গাইগাঁও জেলার কাবাইতারি কারিয়ানা মাদ্রাসা ধ্বংসের তীব্র নিন্দা করছি।"
বঙ্গাইগাঁও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লচিত কুমার দাস গণমাধ্যমকে বলেছিলেন যে মাদ্রাসা ভবনটি সরকারি জমিতে ছিল এব 'দেশবিরোধী কার্যকলাপে' ব্যবহৃত হচ্ছে।
আরও পড়ুন - শাহ-এর বিরুদ্ধে সুর চড়াতেই ফের ইডির তলব! এনসিআরবি-এর তথ্য তুলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে কটাক্ষ অভিষেকের