অসমের আঞ্চলিক দল রাইজোড়কে তৃণমূল কংগ্রসের সঙ্গে মিশে যাওয়ার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তেমনই জানিয়েছেন দলের প্রধান অখিল গগৈ।
ত্রিপুরার পর এবার কী তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখ অসমে। কিছুটা হলেও রাজনৈতিক মহলে তেমনই গুঞ্জন। কারণ অসমের প্রতিবাদী বিধায়ক অখিল গগৈ বলেছেন তাঁকে ও তাঁর দলকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করতেও বলেছেন। অখিল গগৈয়ের কথাই মমতা তাঁকে বলেছেন কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে হঠাতে এই পদক্ষেপ অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাংবাদিক সম্মেলন অসমের রাইজোড় দলের প্রধান অখিল গগৈ বলেছেন তাঁদের লক্ষ্য আঞ্চলিক শক্তির একটি কনফেডারেশন গঠন করা। আর সেই কনফেডারেশনের নেতা হিসেবেই ২০২৪ সালে ভোটের আগে থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলে ধরা। তিনি আরও জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যদি রাইজোড় দল মিশে যায় তাহলে তাঁকেই তৃণমূলের অসম ইউনিটের সভাপতি করা হবে বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন। তবে তাঁরা এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি। দলের কার্যহির্বাহী সভার বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর রায়জোড় দলের যে তিনবার আলোচনা হয়েছে তা অবশ্য জানিয়েছেন অখিল গগৈ।
নীরজ চোপড়ার সোনা জয়ের পথ সহজ ছিল না, অসাধ্য সাধনে ভূমিকা ছিল মোদী সরকারেরও
নিজের রক্ত দিয়ে সিঁদুর পরিয়েছিলেন প্রেমিকাকে, কার্গিল হিরো বিক্রম বার্তার প্রেম ছিল বাঁধভাঙা
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে তাঁকে দীর্ঘ দিনই জেলবন্দি থাকতে হয়েছিল। জেলেথেকেই অসম বিধানসভা ভোটে লড়াই করেছিলেন তিনি। জয়ীও হয়েছিলেন। রাইজোর দল বে কয়েকটি আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করলেও শুধুমাত্র তিনি জয়ী হয়েছিলেন। তবে দলের না হলেও গোটা অসম জুড়েই অখিল গগৈয়ের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে রয়েছে। সদ্য জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে বর্তমানে আবারও সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নিয়েছেন তিনি। অসমে বিজেপি বিরোধী হিসেবেই অখিল গগৈ পরিচিত মুখ। আর তাঁর পরিচিতিকেই কাজে লাগাতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী। তেমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।