সংক্ষিপ্ত

টোকিও অলিম্পিক্সে ভারত রুপো জয় দিয়ে শুরু করেছে শেষ করেছে সোনা জিতে।অসাধ্য সাধনে ভূমিকা ছিল মোদী সরকারেরও  ৭ টি পদক পেয়েছে ভারত। 

সোমবার টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতে ১৩০ কোটির স্বপ্নকে সফল করেছে মাত্র ২৩ বছরের নীরজ চোপড়া।  ১৩ বছরের পর ভারত এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ব্যক্তিগত খেলায় দ্বিতীয় স্বর্ণপদক পেল। আগে এই কৃতিত্ব ছিল শ্যুটার অভিনব বিন্দ্রার। দুজনের মধ্যে মিলও রয়েছে। দুজনেই ভারতীয় সেনা বাহিনীর সদস্য। যাইহোক   নীরজ চোপড়ার এই সাফল্যের পিছনেশুধুমাত্র তাঁর বা তাঁর পরিবারের হাত নেই। রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারেরও সহযোগিতা। অনেকেই আবার দাবি করেছেন নীরজের এই সাফল্যের কৃতত্বের অধিকারী অবশ্যই প্রধানমমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র বলছেল ক্রীড়াখাতে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যববরাদ্দ বাড়িয়েছে। নীরজের মত ক্রীড়াবিদনের প্রস্তুতির জন্য জন প্রতি প্রায় ৭ কোটি টাকা করে খরচ করা হয়েছে। 


সোমবার বিকেলে আবারও ইতিহাস তৈরি করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বক্তব্য রাখবেন সমুদ্র নিরাপত্তা নিয়ে

নীজর চোপড়ার প্রস্তুতিতে সরকার প্রায় ৭ কোটি টাকা খরচ করেছেন। নীজরে ৪৫০ দিনের জন্য বিদেশ প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন। পাতিয়ালায় ন্যাশানাল কোচিং ক্যাম্পে ছিলেন প্রায় ১১৬৭ দিন। নীরজের জন্য একজন বিদেশি প্রশিক্ষকও নিয়োগ করা হয়েছিল। একটি জ্যাভলিং মেশিং কেনা হয়েছিল যার দাম প্রায় ৭৪ লক্ষ টাকার বেশি। এই সব খরচই বহন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রীড়া মন্ত্রকের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ইউরোপে প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার জন্য ভিসা সাপোর্ট লেটার,ক্রীড়া সরঞ্জাম, সরঞ্জাম কেনার জন্য আর্থিক সহায়তা করা হয়েছিল। জাতীয় প্রশিক্ষণ শিবিরের প্রশিক্ষণের জন্য বায়োমেকানিক বিশেষজ্ঞ কাম কোচ নিয়োগ, বিদেশে খেলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। ফেডারেশন আর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। দেশের প্রতিযোগিদের ২৬টি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছিল। 

ভূপেন হাজারিকার বিক্রি করে দেওয়া ৭ বিঘা জমি অধিগ্রহণ, তৈরি হবে সংস্কৃতিক কেন্দ্র

কেন্দ্রীয় সরকার অলিম্পিক্স গেমসের জন্য টার্গেট অলিম্পিক পডিয়াম স্কিম চালি করেছে। এই স্কিমের মূল উদ্দেশ্য হল অলিম্পক্সের জন্য ক্রীড়াবিদদের চিহ্নিত করা আর তাদের সহযোগিতা করা। রিও অলিম্পিকের পর থেকেই এই স্কিম চালু করা হয়েছিল। এই স্কিমে খরচ করা হয়েছে প্রায় ৫২,৬৫,৩৮৮ টাকা। সাই ট্রেনিং সেন্টারের জন্য ১,২৯,২৬,৫৯০ টাকা খরচ করা হয়েছে ২০১৬ সালের পর থেকে। সরকার এপর্যন্ত ১.৮১.৯১,৯৭৮ টাকা খরচ করেছে। 

খেলার প্রচারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্লে ইন্ডিয়া স্কিম চালু করেছে ২০১৮ সাল  থেকে। এই স্কিমের মাধ্যমে প্রচিবছর ১ হাজার প্রতিভা সম্পন্ন তরুণ ক্রীড়াবিদদের নির্বাচন করে। আর তাদের প্রশিক্ষণ আর অন্যান্য কাজের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করে। নির্বাচিত ক্রীড়বিদদের প্রতি ৪ বছর ৫ লক্ষ টাকা করে বার্ষিক বৃত্তি দেওয়া হ। ৩ মিনিটের ভিডিও ক্লিপে 'বিরোধী তীর', তৃণমূলের ডেরেকের টুইটে সংসদে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে

ক্রীড়াক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ বাড়ান হয়েছে। ২০১১-১২ সালের তুনয়া ২০২০-২১ সালে ৭৫৭ কোটি টাকা বাড়ান হয়েছে। যা আগের তুলনায় প্রায় ৩০০ শতাংশ বেশি। টোকিও অলিম্পিক্স ২০২০ ভারতে সর্বকালের সেরা পারফরম্যান্স দিয়েছে। ৭টি পদক পেয়েছে। এর আগে ২০১২ সালে ভারতের দখলে ছিল ৫টি পদক। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্রমাগত ক্রীড়াবিদদের অনুপ্রাণিত করে গেছেন। ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে একাধিকবার ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ম্যাচে হারের পরেই আগামী দিনের জন্য তাঁদের প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। 

YouTube video player