এই মন্দিরে প্রত্যেকদিন প্রায় ২ লক্ষ ভক্তের সমাগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাম মন্দির উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে বিগ্রহ পূজিত হবে বলেও জানা গেছে।
অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Temple) নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পর্যায়ে। ডিসেম্বর মাসেই সম্পন্ন করে নেওয়া হবে সমস্ত ধরনের নিরাপত্তা যাচাই করে নেওয়ার কাজ। আসন্ন ২২ জানুয়ারি তারিখে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই উদ্বোধনের পর অযোধ্যায় (Ayodhya) ৪৮ দিন ধরে চলবে ভজন, কীর্তন। মন্দির উদ্বোধনের পর ৪৮ দিন ধরে বিভিন্ন ভজন সঙ্গীত চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে। সমগ্র দেশের বিভিন্ন শিল্পীরা ওই সময় হাজির থাকবেন, তাঁদের তরফ থেকে ঈশ্বরকে প্রণাম জানানো হবে। সঙ্গীতের পাশাপাশি নৃত্য শিল্পীরাও নিজেদের শিল্পের মাধ্যমে দেবতাকে তুষ্ট করবেন। সেই সঙ্গে আবৃত্তিরও আয়োজন করা হয়েছে মন্দির উদ্বোধনের ৪৮ দিন পর্যন্ত। এসবের পাশাপাশি রাম মন্দির উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে বিগ্রহ পূজিত হবে বলেও জানা যাচ্ছে।
-
মন্দির সূত্রে জানা গেছে যে, ২ জানুয়ারি উদ্বোধন হলেও তার দুই দিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যাবে বিশেষ পুজোপাঠ। উদ্বোধনের আগেই পৌঁছে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে আমন্ত্রিত অতিথিদের। তবে, তিন দিন ধরে সাধারণ ভক্তদের রামলালার দর্শনের অনুমতি থাকছে না। শ্রী রাম মন্দির জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে ২০ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত রামলালার দর্শন সাধারণ ভক্তদের জন্য বন্ধ থাকবে। ২৩ জানুয়ারি থেকে সাধারণ ভক্তদের জন্য খুলে যাবে রাম মন্দিরের দরজা।
২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে মন্দিরের সব জায়গায় ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ করা হবে বলে জানা গেছে। মন্দিরে সাউন্ড এমপ্লিফিকেশন ডিভাইসও বসানো হচ্ছে। এই মন্দিরে প্রত্যেকদিন প্রায় ২ লক্ষ ভক্তের সমাগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। চার সারিতে মন্দিরে প্রবেশের ব্যবস্থা থাকবে। ২০ ডিসেম্বর থেকে রাম মন্দির চত্বরে প্রবেশের আগে ব্য়াগ স্ক্যান করা হবে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে, মন্দির চত্বরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ও যাত্রী সুবিধা কেন্দ্র সহ অন্যান্য সমস্ত কাজ সম্পন্ন করা হবে। ইতিমধ্যে, মূর্তি নির্মাণের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। মন্দিরের ৭০টি পিলারে খোদাইয়ের কাজও শেষ হয়েছে। মন্দির ও প্রাচীরের মাঝখানে কর্ণাটক থেকে আনা গ্রানাইট পাথর বসানোর কাজ চলছে।
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।