সন্ধ্যেবেলা বাইরে না গেলে গণধর্ষণ হতে না, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য়ের বিবৃতিতে বিতর্ক

  • মহিলাদের চলাফেরায় সময় জ্ঞান থাকা উচিৎ
  • সন্ধ্যের সময় বার না হয়ে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত 
  • বুদায়ুনে গিয়ে মন্তব্য চন্দ্রমুখী দেবীর 
  • দলের সদস্যের মন্তব্য সমর্থন করেন না রেখা শর্মা 
     

Asianet News Bangla | Published : Jan 7, 2021 4:24 PM IST

জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য আর চেয়ারম্যানের কথায় আকাশ পাতাল ফারাক। আগামী দিনে দেশের মহিলা নাগরিকরা ঠিক কোন পথটা অবলম্বন করবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই একটা আলোচনা সভার আয়োজন করা যেতেই পারে। বৃহস্পতিবার বুয়াউনের নিহত নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সসদ্য চন্দ্রমুখী দেবী। তিনি সেখানে গিয়ে বলেন এজাতীয় দুর্ঘটনা এড়ানো যেত যদি মহিলা সন্ধ্যেবেলার বাড়ির বাইরে না বার হতেন। যদিও এই মন্তব্য একবিন্দুও সমর্থন করেননি জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সেন রেখা শর্মা। 


চন্দ্রমুখী দেবী নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেই সময় তিনি বলেন, একজন মহিলার সময়ের কথা মাথায় রাখা উচিৎ। দেরী করে মহিলার বাড়ি থেকে বার হওয়া ঠিক হয়নি। তাঁকে জোর করলেও সন্ধ্যের সময় তাঁর বাড়ি থেকে বার হওয়া ঠিক হয়নি। সেই সময়ই তিনি বলেন দুর্ঘটনাটি এড়ানো যেত যদি মহিলা সন্ধ্যের সময় বাড়ি থেকে বার না হতেন। সেই সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরাও তাঁর সঙ্গে ছিল না।  মহিলা একা না থাকলে তাঁকে বাঁচানো যেত। যদিও পরে তিনি বলেন তাঁর মন্তব্যে যদি কেউ আহত হন তবে তিনি মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেবেন।

এক অন্য প্রেমের গল্প, সব বাধা পেরিয়ে এক মঞ্চে এক দিনে দুই প্রেমিকাকে স্বীকৃতি দিলেন এক পাত্

করোনা-সংক্রমণ রুখতে কঠোর নজরদারী চালাতে হবে, বাংলার সঙ্গে আরও তিন রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের ...  

কিন্তু ততক্ষণে চন্দ্রমুখী দেবীর মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়ে গেছে। একজন মহিলা হয়ে তিনি কী করে এজাতীয় মন্তব্য করেন তাই  নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আসরে নামতে হয় জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সেন রেখা শর্মাকে। তিনি বলেন, এজাতীয় বিবৃতি কেউ দিয়েছেন কিনা তিনি তা জানেন না। তবে তিনি এজাতীয় মত সমর্থন করে না বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মহিলাদের যখন ইচ্ছে যেখানে খুশি যাওয়ার অধিকার রয়েছে। মহিলাদের নিরাপত্তা দেওয়া সমাজ ও রাষ্ট্রের কর্তব্য বলেও জানিয়েছন তিনি। 

রবিবার সন্ধ্যের সময় মন্দিরে গিয়েছিলে ৫০ বছরের মহিলা। তাঁরে মন্দিরের পুরোহিত ও তাঁর সঙ্গে সঙ্গী গণধর্ষণ করে হত্যা করে বলে অভিযোগ। মহিলার যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর পাঁজরের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছিল পাও ভেঙে দেওয়া গয়েছিল। রবিবারে এই ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার এফআইআর দায়ের হয়। এই ঘটনায় আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে উত্তর প্রদেশের যোগী প্রশাসনকে। যদিও এখনও পর্যন্ত দুই অভিক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

 

Share this article
click me!