চলতি বছরের মে মাসেই বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত উল মুজাহিদিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার। কিন্তু দেশের মধ্যে তাদের কালো ছায়ার বিস্তার যে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ঠেকানো যায় না, তা ফের প্রমাণ করল জামাত উল মুজাহিদিন। অসম, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডে তাদের প্রভাব ইতিমধ্যে বিস্তার করেছে। সম্প্রতি বিহার, মহারাষ্ট্র, কেরলে তারা নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে বলে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ -র প্রধান ওয়াই সি মোদী জানিয়েছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে এনআইএ-র প্রধান জানিয়েছেন, সারা দেশে জেএমবির ১২৫ জন সদস্য ছড়িয়ে পড়েছে। তারা দেশের মধ্যে একদিকে যেমন জেএমবি তাদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছে, অন্য দিকে নানাভাবে সন্ত্রাস মূলক কাজকর্ম করার পরিকল্পনা করছে। এন আইএয়ের আধিকারিক অলোক মিত্তল বলেন, ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের বিস্ফোরণে প্রথম জেএমবি যুক্ত থাকার হদিশ মেলে । ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জেএমবি দক্ষিণ ভারতে ছড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করে। এমনকী, কর্ণাটক সীমান্তে একটি রকেট হামলার চেষ্টা করে জেএমবি। মায়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে জেএমবি একটি বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানা যায়।
বিবৃতিতে মিত্তল জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল থেকে জেএমবির বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। ভারতের ১৪টি রাজ্য থেকে জেএমবির ১২৭ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি মন্তব্য করেছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তারা জাকির নায়েকের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে সন্ত্রাস হামলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সোমবার নয়াদিল্লিতে সন্ত্রাসবাদ দমন মূলক একটি আলোচনা সভা হয়। সেখানেই এনআইএ প্রধান ওয়াই সি মোদী এবং অলোক মিত্তল বক্তব্য রাখেন।