দেশের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী, যার জীবনযাত্রা অনুপ্রাণিত করার মত

  • পুরো নাম ডঃ আবুল ফকির জয়নাল আবেদিন আব্দুল কালাম
  • কলেজ জীবন কাটে তিরুচিরাপল্লির সেন্ট জোসেফ'স-এ
  • ১৯৫৫ সালে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে বিমানপ্রযুক্তি শিক্ষা
  • ২০০২ সালে দেশের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি

১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর, তৎকালীন ব্রিটিশ শাষিত ভারতে রামেশ্বরমের এক তামিল-মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পিতা জয়নুল-আবেদিন ছিলেন একজন নৌকার মালিক এবং মা অশিয়াম্মা ছিলেন গৃহবধূ। অল্প বয়স থেকেই পরিবারের ভরণপোষণের জন্য তাকে কাজ শুরু করতে হয়। রামনাথপুরম স্কোয়ার্টজ ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল থেকে শিক্ষা সম্পূর্ণ করার পর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করার জন্য সংবাদপত্রে লেখালিখি শুরু করেন তিনি। শিক্ষা সম্পূর্ণ করার পর তিরুচিরাপল্লির সেন্ট জোসেফ'স কলেজে ভর্তি হন তিনি। পুরো নাম ডঃ আবুল ফকির জয়নাল আবেদিন আব্দুল কালাম।  ১৯৫৪ সালে সেই কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক হন। ১৯৫৫ সালে তিনি মাদ্রাজে এসে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে বিমানপ্রযুক্তি শিক্ষা শুরু করেন তিনি।

আরও পড়ুন- দৃষ্টিহীনদের হাতেই দীপাবলির রোশনাই, দেখুন ভিডিও

Latest Videos

১৯৬০ সালে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার এরোনটিক্যাল ডেভলপমেন্ট এস্টব্লিশমেন্টে একজন বিজ্ঞানী হিসেবে যোগদান করে, একটি ছোট হোভারক্রাফটের নকশা তৈরি করে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৯ সালে আব্দুল কালাম ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় বদলি হন। সেখানে তিনি ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণকারী যান এসএলভি-৩-এর প্রকল্প পরিচালক ছিলেন যা ১৯৮০ সালের জুলাইয়ে 'রোহিণী' কৃত্রিম উপগ্রহকে তার কক্ষপথে স্থাপন করে। কালাম ১৯৬৫ সালে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থায় স্বাধীনভাবে একটি বর্ধমান রকেট প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। ১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পরমাণু বোমা পরীক্ষায় তিনি প্রধান সাংগঠনিক, প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন। 

আরও পড়ুন- শৈশব ফেরাতে ভারত সরকারের নয়া উদ্যোগ, অভিভাবককে নিরাশ করা নির্দেশিকায় কি আছে

পদার্থবিদ্যা বিষয়ে সেন্ট জোসেফ'স কলেজ থেকে এবং বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা নিয়ে মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এম আই টি) থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর চল্লিশ বছর তিনি প্রধানত রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন (ডিআরডিও) ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মহাকাশযানবাহী রকেট উন্নয়নের কাজে তার অবদানের জন্য তাকে ‘ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মানব’ বা ‘মিসাইল ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ বলা হয়। দেশের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল অবধি তিনি ছিলেন। জীবনের সমস্ত সঞ্চয় স্বেচ্ছাসেবি সংস্থাকে দান করে দেন তিনি। জন্মসূত্রে মুসলমান হলেও সর্বধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। একইসঙ্গে গীতা-কোরাম সমস্ত ধর্মগ্রন্থ পড়তেন তিনি। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ভারতরত্ন, পদ্মভূষণ-সহ একাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই শিলং-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

Share this article
click me!

Latest Videos

'আমি মারা গেলে আমার যেন স্ট্যাচু না হয়' দলের উদ্দেশ্যে বার্তা মমতার
হঠাৎ করে TMC নেতারা পুলিশের বিরুদ্ধে কেন? কী উদ্দেশ্যে? প্রশ্ন অগ্নিমিত্রার | Agnimitra Paul
'বালি চুরি, কয়লা চুরিতে যুক্ত পুলিশদের একাংশ' বিস্ফোরক মন্তব্য মমতার | Mamata Banerjee
Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি
Bangla News : সুকান্তকে বাধা, বেলডাঙা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি | Asianet News Bangla