বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিস্টিনা (নাম পরিবর্তিত) কোচুভেলি মাহিশোর এক্সপ্রেসে যাচ্ছিলেন। তিনি এক্সপ্রেস ট্রেনটির এস-৮ এর যাত্রী ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, পরের দিন সকাল পাঁচটা নাগাদ ট্রেনের এক যুবক ট্রেনের মধ্যে তাঁকে যৌন হেনস্তার চেষ্টা করেন। ভয়াবহ মুহূর্তের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ৬ নভেম্বর পৌনে পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় ট্রেনটি সালেম ও তিরুপত্তরের মাঝখানে ছিল।
তিনি মন্তব্য করেন, সেই সময় নিজের বার্থে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ অস্বস্তি অনুভব করলে, তিনি উঠে দেখেন, এক ব্যক্তি তাঁর যৌনাঙ্গে হাত দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সেই সময় তিনি উঠে বসেন। তাঁকে জেগে উঠতেই দেখেই অভিযুক্ত ব্যক্তি পাশের বগিতে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ক্রিশ্চিনা ও তাঁর বন্ধু বান্ধব ওই ব্যক্তির পিছু নেয়। সেই সময় ট্রেনে কর্তব্যরত পুলিশের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ সেভাবে কোনও সাহায্য করেননি অভিযোগ উঠেছে।
তিরুপত্তরে নেমে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করলেও তরুণী ও তাঁর বন্ধুদের হতাশ হতে হয়। অভিযোগ জানানোর জায়গা খুঁজে পাওয়ার আগে ট্রেন ছেড়ে দেয়। বাধ্য হয়েই ওই তরুণী ও তাঁর বান্ধবীরা ট্রেনের এমার্জেন্সি চেন টানেন। সঙ্গে সঙ্গে তিরুপত্তর স্টেশনে আরপিএফ ও জিআরপি এর কর্মীরা হাজির হন। অভিযোগ জানিয়ে অভিযুক্তকে ধরিয়ে দেন তরুণী।
সময়ের অভাবে স্থানীয় থানায় তরুণী অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি। পরে বেঙ্গালুরু ক্যান্টমেন্টের অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা গিয়েছে। জোলাপত্তাই রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনের তরফে জানানো হয়েছে, এই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারব না। বেঙ্গালুরু ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ এসেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে হবে। আমরা বেঙ্গালুরু ক্যান্টনমেন্টের পুলিশের কাছে অভিযুক্তকে হস্তান্তর করেছি।