ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে শিশু-সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে দু’কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় কেঁপে ওঠে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বিহারের ভাগলপুর। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে শিশু-সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে দু’কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় কেঁপে ওঠে। চার কিলোমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় বলে জানা যায়। বিস্ফোরণটি ঘটেছে তাতারপুর থানা এলাকায়। যে বাড়িতে বিস্ফোরণটি হয়েছে সেটি তো মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েইছে পাশাপাশি আশেপাশের আরও কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই প্রাণঘাতী ছিল যে ওই বাড়ি সহ আশেপাশের আরও চারটি বাড়ি একেবারে ধসে গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ২০০ থেকে ৩০০ মিটার দূরে ভাঙা বাড়ির ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। এই সময় পাশের বাড়িতে ঘুমন্ত লোকজনও গুরুতর আহত হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা রাজ্যজুড়েই।
বিস্ফোরণের পর গোটা এলাকায় ব্যাপক ভিড় জমে যায়। এ কারণে পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। শুরুতে সবাই এই ঘটনাকে ভূমিকম্পও ভেবে বসেছিলেন বলে জানান। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এদিকে গত রাতে বিস্ফোরণের পরেই জেসিবির সাহায্যে ধ্বংসস্তূপ থেকে প্রায় ১৪ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ৭ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরে আরও বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা।
আরও পড়ুন- রাশিয়ান মহাকাশযান থেকে মুছে গেল আমেরিকা-জাপান-ব্রিটেনের পতাকা, রইল ভারতের তেরঙা পতাকা
বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে যান ভাগলপুরের জেলাশাসক সুব্রত কুমার সেন, ডিআইজি সুজিত কুমার, সিনিয়র পুলিশ সুপার বাবুরাম সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। ঘটনা প্রসঙ্গে ভাগলপুরের জেলাশাসক সুব্রত কুমার সেন জানান, “যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানে আতশবাজি তৈরি করা হত। বিস্ফোরণের আসল কারণ কী সেটা এখনও তদন্ত সাপেক্ষ। যদিও এলাকাবাসীর অভিযোগ, আতশবাজি তৈরির আড়ালে ওই বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলত। বিস্ফোরকের পরিমাণ অনেক বেশি ছিল থাকার কারণেই অভিঘাতের তীব্রতা এতটা বেশি ছিল বলে আমাদের ধারণা।” এদিকে শেষ পাওয়া আপডেট বলছে খানিক আগে পর্যন্তও মৃতদের মধ্যে মাত্র দু’জনের দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। দু'জনের নাম গণেশ প্রসাদ সিং (৬০) এবং উর্মিলা দেবী (৬৫)। বাকিদের দেহ এখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।