স্কুল দেওয়া হবে গীতার পাঠ, দেশজোড়া বিতর্কের মধ্যে কী বলছে বিরোধীরা

এদিকে কর্ণাটকে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা কে সিদ্দারামাইয়াকে সরাসরি বিরোধীতা করতে দেখা যায়নি। 
 

Jaydeep Das | / Updated: Mar 20 2022, 06:40 AM IST

কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী(Education Minister of Karnataka) বিসি নাগেশ জানিয়েছেন যে সরকার শ্রীমদ ভগবদ গীতাকে স্কুলের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবছে। এ জন্য শীঘ্রই একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর এই ঘোষণার পরেই তা নিয়ে ফের জোরদার বিতর্ক তৈরি হয়েছে গোটা দেশজুড়েই। এদিকে এর আগে গুজরাটের স্কুলে ৬ থেকে দ্বাদ্বশ শ্রেনীর পাঠ্যসূচিতে ভগবত গীতা যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। যা নিয়েও বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের মতো ধর্ম নিরপক্ষ দেশে কিভাবে স্কুলের পাঠ্য বইয়ে আধ্যাত্মিকতার পাঠ দেওয়া যেতে পারে ? 

এর আগে গুজরাট সরকার বৃহস্পতিবার তাদের বিধানসভায় ঘোষণা করেছে রাজ্যের স্কুলগুলিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেরেই ক্লাস সিক্স থেকে দ্বাদ্বশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যসূচিতে গীতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। গীতার মূল্যবোধ ও নীতিগুলিকে স্কুল পাঠ্যক্রমের অংশ করাও কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শিক্ষানীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেও দাবি করা হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জিতু ভাঘানির দাবি ভারতের সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের তথ্য দেওয়ার উদ্দেশ্যেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জিতু ভাঘানির আরও দাবি, ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শ্রীমদ ভাগবত গীতাই হবে আগামীতে নৈতিক শিক্ষার একটি অংশ। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এটি প্রথম ভাষার বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন- বয়সকালে স্মৃতিভ্রমের কারণে জটিল ব্যাধি সারাবে এই ওষুধ, নয়া গবেষণা ঘিরে বাড়ছে আশার আলো

অন্যদিকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই পুরো বিষয়টি এখ আলোচনার স্তরে রয়েছে বলে সাফ জানিয়েছেন। দ্রুত বিশেষজ্ঞ কমিটি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। এদিকে কর্ণাটকে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা কে সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, “আমরা নৈতিক শিক্ষার বিরুদ্ধে নই। আমরা সংবিধান ও ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী। সরকার যদি গীতা, কোরান বা বাইবেল শেখানোর সিদ্ধান্ত নেয় তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।” একই সময়ে, কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে রেহমান খান বলেছেন, “সিলেবাসে ধর্মীয় বই অন্তর্ভুক্ত করা খারাপ কিছু নয়। কিন্তু ভারত বহু ধর্মের বৈচিত্র্যময় দেশ। সমস্ত ধর্মীয় বই ধর্ম শিক্ষা দেয়। আপনি বলতে পারবেন না যে গীতা নিজেই ধর্ম এবং ভারতীয় সংস্কৃতি শেখায়। তবে শিক্ষার্থীদের সব ধর্মীয় বই পড়াতে হবে।”

আরও পড়ুন- কাউন্সিলর খুনে শোকস্তব্ধ গোটা শহর, রঙের উৎসবে বেরঙীন পুরুলিয়ার ঝালদা

আরও পড়ুন- দোলে ‘রঙ রুটে’ যাদবপুর, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে দানা বাঁধছে বিতর্ক

Share this article
click me!